রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে খেজুরির বিভিন্ন এলাকা। দিনকয়েক আগে খেজুরিতে বিজেপি ও তৃণমূলের জনসভাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সভাস্থলে যাওয়ার পথে উভয় দলের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ, মারামারি, বোমাবাজি, কোনওকিছুই বাদ যায়নি। পুলিস এই ঘটনায় দু’পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে বোমাবাজির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পশ্চিম পনিখা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে তৃণমূলের বুথস্তরের মিটিং ছিল। সেখানে খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি শ্যামল মিশ্র, জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মিটিং চলাকালীন বিজেপির লোকজন শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের চারদিক থেকে ঘিরে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠে বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। এছাড়া না ফাটা বোমার অংশও পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শ্যামলবাবু বলেন, বিজেপির লোকজন বোমাবাজি ছাড়া শূন্যে গুলিও ছোঁড়ে। এই ঘটনার জেরে আমরা মিটিংও শেষ করতে পারিনি। এলাকায় আটকে পড়তে হয়। আমরা পুলিসকে জানালে পুলিসের হস্তক্ষেপে এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। এছাড়া বিজেপির লোকজন ওই গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য দীপক দাসের বাড়ি ভাঙচুরও করেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন জনকার এই এলাকা শান্ত ছিল। সিপিএমের জামা বদলে কিছু হার্মাদ বিজেপিতে যোগ দিয়ে সিপিএমের কায়দাতেই সন্ত্রাস শুরু করেছে।
বিজেপির খেজুরি দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বোমাবাজি বা গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গত শুক্রবার রাতে তৃণমূলের লোকজন এলাকায় মিটিং করেছিল। তারাই বোমাবাজি করেছিল। এদিন সেই বোমাগুলিই উদ্ধার করেছে পুলিস। অথচ ওরা বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা রবিবার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছি। ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বোমাবাজির ঘটনায় কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া বোমা। - নিজস্ব চিত্র