বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিনের সম্মেলনে কল্যাণবাবু বলেন, বিজেপিতে কোনও সংস্কৃতিবান, রুচিবান লোক নেই। যদি সত্যিকারের শিক্ষিত লোক থাকত তাহলে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিত না।
ভিক্টোরিয়ার ঘটনায় এদিন কল্যাণবাবু প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, আপনাদের নেতৃত্বে, আপনার দলের নির্দেশে এভাবে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। জয় হিন্দ বা জয় নেতাজি নয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হল। আপনি অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক। ওইদিন ঘটনার সময় আপনি চুপ করেছিলেন। তাই ইতিহাস আপনাকে কোনওদিন ক্ষমা করবে না। ওই রকম পবিত্র দিনে বাংলার মানুষের আবেগকে আপনি নষ্ট করেছেন। তিনি আরও বলেন, আপনি ঠিক নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালন করতে আসেননি। আপনি নির্বাচনী প্রচার করতে এসেছিলেন। বাংলার মানুষ সেটা দেখে নিয়েছে। আগামী মে মাসে এর উপযুক্ত জবার ও শিক্ষা পেয়ে যাবেন। কোনও চিন্তা নেই।
ভিক্টোরিয়ার ঘটনার জেরে বাঁকুড়াতেও তৃণমূল প্রতিবাদে নামছে। রবিবার কর্মিসভার মঞ্চ থেকেই তা ঘোষণা করেছে নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, মমতাকে অপমানের ও কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামী ১৫ দিন ধরে প্রত্যেক ব্লকে কর্মসূচি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পথসভাও করা হবে।
এদিন বিকেলে কোতুলপুরের সভায় কল্যাণবাবু বলেন, বিজেপি ঈশ্বরকে নিয়ে ব্যবসা করছে। রামচন্দ্র তো সকলের। তোমরা রাজনীতি করার জন্য কেন রামচন্দ্রকে বিক্রি করবে? ঈশ্বরকে ঈশ্বরের জায়গায় থাকতে দাও।
তিনি বলেন, অনেক আন্দোলনের পর তৃণমূল কংগ্রেস আজকে এই জায়গায় এসেছে। ২০১৬ সালে আপনারা দিলীপ ঘোষের নাম শোনেননি। এই কোতুলপুরের মাটিতে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করেছিলাম আমরা। তখন দিলীপ ঘোষের নাম কেউ জানত না। চমকাইতলার পথে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। সেদিন বিজেপির নাম শোনা যায়নি। নন্দীগ্রামে, সিঙ্গুরে আমরা লড়েছি। তখন বিজেপির নাম শোনা যায়নি। ৩৪ বছরের সিপিএমকে আমরাই হটাতে পেরেছি। আর আজ বিজেপি হঠাৎ উড়ে এসে বলছে, ‘বাংলায় পদ্ম ফোটাব।’ কিন্তু, তা কোনওদিনই সম্ভব হবে না। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষ বিজেপিকে বিদায় দেবে। এদিনের সভা থেকে তিনি দলবদলুদের ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করেন।
কল্যাণবাবু আরও বলেন, ২০১৯ সালে আমরা বুঝতে পারিনি, মীরজাফররা আমাদের ঘরের ভিতরে রয়েছে। আমি ৩৭ বছর ধরে দিদির সঙ্গে রয়েছি। কোনওদিন পদ চাইনি। আমার মতো লাখো লাখো কর্মী পদ চান না। তাঁরা শুধু দিদির পাশে থাকতে চান। দিদির কাছে তাঁদের একটাই আবদার, ‘দিদিগো, মে মাসে যখন তুমি নতুন ক্যাবিনেট গড়বে, তখন দেখে নিও আর যেন কোনও মীরজাফর ঠাঁই না পায়।’ বাঁকুড়ার সভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। - নিজস্ব চিত্র