বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দলের একাংশের দাবি, বহরমপুরের অনেক নেতাই কংগ্রেসের ‘দাদা’র বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান। সেভাবে কাউকেই সমালোচনা করতে দেখা যায় না। সেটা তাঁর কাছে প্লাস পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই বলার মতো অনেক কিছুই থেকে যায়। এদিকে ওই নেতা লাগাতার তৃণমূলের বিরোধিতা করে নিজেদের পালে হাওয়া লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দাবি তুলেছেন, ওই নেতার বিরুদ্ধে সরব হতে পারে এমন কাউকে সামনে নিয়ে এসে ভোটে লড়া হোক। তাহলেই সাফল্য পাওয়া যাবে। সেটা না হলে অনেক সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে।
তৃণমূল নেতা দেবব্রত মারিক বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লড়াকু কোনও নেতাকে প্রার্থী করা হোক। শহরে আমাদের সরকার অনেক কাজ করেছে। তাই এই শহরের মানুষও আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা করছি। তৃণমূলের আর এক নেতা অশেষ ঘোষ বলেন, বহরমপুর শিক্ষিত লোকজনের সংখ্যা অনেক বেশি। এই শহরের একটি সংস্কৃতি রয়েছে। তাই আমরা চাইব লড়াকু মানসিকতার চিকিৎসক, শিক্ষক বা অন্য পেশার কাউকে প্রার্থী করা হোক। দলের অনেক নেতা বলেন, এই শহরের অনেকেই তলে তলে বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। লোকসভা ভোটেও তারা সেই সম্পর্ক ধরে রেখেছিল। তাই তাদের মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা উচিত নয়।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একসময় বহরমপুরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র কোন্দল ছিল। এখন তা অনেকটাই মিটে গিয়েছে। দুই গোষ্ঠীর নেতাদের একই সঙ্গে বিভিন্ন মঞ্চে দেখা যাচ্ছে। সংগঠনও আগের তুলনায় অনেকটাই মজবুত হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রচার শুরু করেছেন। দলের একটা বড় অংশই মনে করছে, কট্টর কংগ্রেস বিরোধী কাউকে প্রার্থী করা হলেই এই বিধানসভা কেন্দ্রেও মিরাকেল কিছু হতে পারে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, এবার বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিও বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। তারাও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার এই বিধানসভা কেন্দ্রে অন্যরকম লড়াই দেখা যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, কংগ্রেসের আমলেই শহরে যেটুকু উন্নয়ন হওয়ার হয়েছে। তৃণমূল পুরসভায় আসার পর লুটপাট হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা সবটাই জানেন। তাছাড়া ওদের মধ্যে যেভাবে কোন্দল শুরু হয়েছে সেটা আগে সামলাক। তারপরে জয়ের স্বপ্ন দেখবে।