পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে শনিবার কলকাতার ভিক্টোরিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারি অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমানের প্রতিবাদে এবং কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একাধিক কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামল তৃণমূল। রবিবার বীরভূম জেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাইক মিছিল করে। এদিন দুপুরে দুবরাজপুরের পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা একটি বাইক মিছিল করেন। তৃণমূলের দাবি প্রায় পাঁচশো বাইক এদিনের মিছিলে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া সাইথিয়া বিধানসভার আহমদপুরেও একইভাবে এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা একটি মিছিল করেন।
এদিনই মহম্মদবাজারের সভা থেকে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে অনুব্রতবাবু বলেন, কাল আমরা একটা দৃশ্য দেখলাম। ওরা বাংলাকে অপমান করতে এসেছিল। উনি চোখে দেখতে পেয়েছেন কিনা আমি জানি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে অপমান করার অধিকার ওঁর নেই। মিটিংটা ছিল সরকারি। সেখানে বলা হয়েছে জয় শ্রীরাম। জয় শ্রীরাম বলা অন্যায় নয়। কিন্তু কেন ওই মিটিংয়ে বলবে। বাংলার সংস্কৃতি তুমি জান না। বাংলার ইতিহাস তুমি জান না। তুমি মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেছ। বাংলার মানুষ তোমাকে ধিক্কার জানিয়েছে।
সেই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন তুলে নিচ্ছেন না। কৃষক তাঁদের নিজের ফসল ফলানোর পর কেন কম দামে শিল্পপতিদের বিক্রি করবেন। শিল্পপতিরা সেই ফসল কিনে লাভবান হবেন। আর আমরা কি তাহলে ভেরেন্ডা খাব? শুধু তাই নয়, এদিনের মঞ্চ থেকে লকডাউনের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে লকডাউনের সময় কর্মচারীদের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এক পয়সা বেতন কাটেননি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীলাবতী সাহা, জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। অন্যান্য জনসভাগুলির মতোই এদিনের জনসভায় উপচে পড়েছে জনতার ভিড়। মহম্মদ বাজার এলাকায় সাঁইথিয়া বিধানসভা এলাকায় ৬টি অঞ্চল এবং রামপুরহাট বিধানসভা ৬টি অঞ্চলের মানুষ এদিন জমায়েত হয়েছিলেন। মিটিংয়ের শুরুতে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রামবাসীরা আসার সময় কার্যত উল্লাসে মেতে ওঠেন। কেউ বাজনা, কেউ ঢাক ঢোল ইত্যাদি বাজিয়ে উৎসাহের সঙ্গে সভাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর অনুব্রতর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই সভামঞ্চে চালানো হয় একটি নতুন গানের তাল ‘খেলা হবে আবার খেলা হবে’। অনুব্রত মণ্ডলের ভয়ঙ্কর খেলা হবে মন্তব্যের পর ‘খেলা হবে’ গানের তালে সভাস্থলে নাচতে শুরু করেন উপস্থিত জনতা। পা মেলান মহিলারাও। আর তা মঞ্চ থেকে বসে দেখতে দেখতে হাত নেড়ে জনগণকে অভিবাদন জানালেন অনুব্রতবাবু। নিজস্ব চিত্র