পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
১৯২৭সালের ১৭মার্চ টাউন হল পথচলা শুরু করে। যা এই শহরের গর্ব। নিয়ম অনুযায়ী টাউন হলের সভাপতি থাকেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক। ৯৪বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী টাউন হলের বিল্ডিংটি কালের নিয়মে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। খসে পড়ছিল পলেস্তারা। সামনের অংশ যে কোনও সময় ভেঙে পড়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। তাই টাউন হলকে বাঁচাতে ২০১৯সালে টিআরডিএর পক্ষ থেকে প্রায় ৪৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই মতো পুরনো বিল্ডিং ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিছুদিন আগে সেই কাজ শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, বরাদ্দ অর্থে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম ও একটি বড় হল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে বসেছে মার্বেলও। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক অন্ত প্রাণ এই শহরে দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল স্থায়ী মঞ্চের। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ক্যাম্পাসেই স্থায়ী মঞ্চ ও পুরুষ মহিলা পৃথক টয়লেট নির্মাণ হয়েছে। যেখানে নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা করা যাবে। আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হলঘরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে।
রামপুরহাটে ছোট বড় মিলিয়ে একাধিক নাটকের দল ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী রয়েছে। এবার ফের পুরোদমে নাট্যচর্চা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হলের সম্পাদক কৃষ্ণ চৌধুরী।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে তাঁরই মস্তিকপ্রসূত রামপুরহটের মনসুবা মোড়ে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার উপর মেগা তোরণের কাজও শেষ। রামপুরহাটের মনসুবা মোড়ে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার উপর এক কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরও একটি মেগা তোরণ গড়ার উদ্যোগ নেয় টিআরডিএ। সেই তোরণের নকশা তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সেই তোরণ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বুধবার একইদিনে সেই তোরণের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পেতে মানুষের যাতে বিভ্রান্তি না হয়, তারজন্যই এই তোরণ নির্মাণ। সুবিশাল তোরণ পর্যটকদের কাছে তারাপীঠকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। জাতীয় সড়ক পেরিয়ে যাওয়ার সময় সকলের নজর কাড়বে এই তোরণটি।
টিআরডিএর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী টিআরডিএকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেন। তাঁরই দৃষ্টিভঙ্গিতে তারাপীঠকে সাজিয়ে তুলছেন। যা আন্তর্জাতিক মানের তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করছে বামাখ্যাপার এই সাধনাস্থলকে।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের দিন দুটি জায়গাতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত থাকবেন।