পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, বিজেপিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা মন্ত্রী যোগ দিয়েছেন। সেই রকমই শ্যামাপ্রসাদবাবু দলে এসেছেন। আমাদের দলে শৃঙ্খলা রয়েছে। তাই এখানে গোষ্ঠী বলে কিছু হয় না।
শ্যামাপ্রসাদবাবু বলেন, আমি দলের প্রতি দায়বদ্ধ। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী চলব। দলের পুরানো ও নতুন সকলকে নিয়ে কাজ করব। অন্য দল থেকে এলেও আমাকে নিয়ে বিজেপির পুরানো কর্মীদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই।
শ্যামাপ্রসাদবাবু ১২বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১১সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তিনি মন্ত্রিত্বও পান। তারপর থেকেই নিজের অনুগামীদের সংগঠনের বিভিন্ন পদে বসান। ধীরে ধীরে গোটা বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায় সংগঠনের রাশ নিজের দখলে আনেন। তাঁদের ঠেলায় তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা কার্যত ছিটকে পড়েন। তার জেরে গত ১০ বছর ধরে এলাকায় তৃণমূলের দু’টি সমান্তরাল শিবির সক্রিয় ছিল। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানিও হয়েছে। তাতে তৃণমূলের সংগঠনে চিড় ধরে। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনুন্নয়ন ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে সংগঠন ও প্রশাসনের অধিকাংশ পদ থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে হাওয়া কিছুটা ঘুরতেই শ্যামাপ্রসাদবাবু বিজেপিতে যোগ দেন। তাতে বিজেপি কর্মীদের একাংশ প্রকাশ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভও দেখান। সেজন্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রায় একমাস কেটে গেলেও এতদিন তিনি দলের পার্টি অফিসে আসেননি। তবে এদিন তিনি দলবল নিয়ে পার্টি অফিসে আসতেই পুরনো কর্মীরা কার্যত মুষড়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, শ্যামাপ্রসাদের অনুগামীরা এদিন দলবল নিয়ে ‘জয়শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে যেভাবে পার্টি অফিসে দাপিয়ে বেড়ালেন তাতে মুখ শুকিয়ে যায় আদি কর্মীদের। পুরনো কর্মীদের অনেকেই এটা মানতে পারছেন না। পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে কেউ কেউ হতাশ হয়ে বলেন, যাদের হাতে আমরা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মার খেয়ে এসেছি। আজ তাদেরই নেতা হিসেবে মানতে হবে? এটা কোনওমতেই সম্ভব নয়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এভাবে চলতে থাকলে বিষ্ণুপুরে বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।