দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিনের সভায় সংগঠনের নেতা আব্দুল মাতিন, চাঁদ মহম্মদ সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বেচারামবাবু বলেন, এ রাজ্যের কৃষকদের মহাজনদের কাছে হাত পাততে হয় না। কিষান ক্রেডিট কার্ড চাষিদের সম্মান দিয়েছে। তারা শস্য বিমার সুযোগ পাচ্ছ। কৃষকরা এ রাজ্যে ধান, আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের সরকার সব রকমভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য কিছুই করেনি। নরেন্দ্র মোদি যে কৃষি আইন এনেছে তাতে কৃষকদের আত্মহত্যা করতে হবে। এই আইন কোনওভাবেই মানা হবে না। আইনের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
এদিন তৃণমূলের কিষান খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সিপিএম ও কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, সিপিএম বিজেপিকে নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তা কোনওদিনই পারবে না। আগামী দিনে বিজেপিকে কৃষকরা লাথি মারবে। তোদের কোমর ভেঙে যাবে। বিজেপিকে দিল্লি ছেড়ে চলে যেতেই হবে। বিজেপি নেতারা ভোট পাখির মতো আসছে। গরিব দরদি সাজার চেষ্টা করছে। ভোট নেওয়ার জন্য এসব গিমিক শুরু করেছে। সিপিএম কংগ্রেস ওদের মদত দিচ্ছে। কংগ্রেসের রক্ত সিপিএমের হাতে এখনও লেগে রয়েছে। অথচ ভোট পাওয়ার জন্য অধীর চৌধুরীরা তাদের হাত ধরছে। হায়দরাবাদের দলটিকেও সমর্থন করবেন না। ওরা বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এসেছে। ওদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপি নেতাদের হাত শক্তিশালী করা।
বেচারামবাবু রাজ্য সরকারের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, মেয়েরা এখন বাড়ির সম্পদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। মেয়েরা এখন কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে। পড়াশোনা করছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল চালিয়ে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। সাড়ে ন’লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী ট্যাব পেয়েছে। এসব আগে ভাবা যেত না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুসরণ করে ‘বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও’ প্রকল্প চালু করেছিল। কিন্তু, রাজ্যের কেউ প্রকল্পের সুবিধা পায়নি। এটা সম্পূর্ণ ভেক। ভগবানগোলার রানিতলায় তৃণমূলের সভামঞ্চে বেচারাম মান্না। -নিজস্ব চিত্র