দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গোটা দেশ তখন ইংরেজদের শাসন থেকে মুক্তি পেতে স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে উত্তাল। ইংরেজরাও বিপ্লবীদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য নানা উপায় নিয়েছিল। বাধ্য হয়েই গোপনে বাংলা তথা দেশের লক্ষ লক্ষ বিপ্লবীরা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতেন। অনেক সময় গোপন ডেরায় তাঁরা আত্মগোপন করেই দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য মিটিং করতেন। বিপ্লবীদের এইসব ডেরায় গিয়ে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতেন নেতাজি স্বয়ং। কাটোয়া শহরের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও দেশের স্বাধীনতা আনার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। শহরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৩১ সালের ডিসেম্বর মাসে কাটোয়ায় পদধূলি দেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনদিন কাশীগঞ্জ পাড়ার যে বাড়ির দোতলায় ছিলেন তার বর্তমান নাম নেতাজি সুভাষ আশ্রম। সেখানেই তিনি বিপ্লবীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করেন। নেতাজি থাকাকালীন অন্যান্য বিপ্লবীদের পাশাপাশি তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন আরএক স্বাধীনতা সংগ্রামী শহরের কাছারিপাড়ার বাসিন্দা শ্যামরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শ্যামরঞ্জনবাবু কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তখনই তিনি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই সময় শ্যামরঞ্জনবাবু নেতাজির সান্নিধ্যে আসেন। তাই কাটোয়া শহরে নেতাজির থাকাকালীন তাঁর সাহচর্য লাভ করেন তিনি। শ্যামরঞ্জনবাবুর পরিবারের বর্তমান সদস্যরা আজও বিশ্বাস করেন নেতাজি একদিন ফিরে আসবেন।
শ্যামরঞ্জনবাবুর নাতি সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ও পুত্রবধূ তৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি নেতাজির খুব কাছের মানুষ ছিলেন। কাটোয়া শহরে নেতাজির আসার পিছনে শ্যামরঞ্জনবাবুর ভূমিকাও কম ছিল না। আমরা আজও বিশ্বাস করি না নেতাজি মারা গিয়েছেন। নেতাজির সঙ্গে শ্যামরঞ্জনবাবুর অনেক ছবিও আছে।
এদিকে নেতাজি স্মূতিবিজড়িত ‘সুভাষ আশ্রম’ আজ ভগ্নপ্রায়। ট্রাস্টি বোর্ডের এক সদস্য মাধবী দাস বলেন, নেতাজির এই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি সংরক্ষণ করা হোক। এই বাড়িতেই ছিলেন নেতাজি। - নিজস্ব চিত্র