বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দাসপুর গঞ্জটি আয়তনে ও জনবসতির দিক দিয়ে অনেকটাই বড়। ওই গঞ্জের মধ্য দিয়েই ঘাটাল মহকুমার প্রধান রাস্তা ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাস্তাটি গিয়েছে। গঞ্জের মধ্যে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, তিনটি নার্সিংহোম রয়েছে। তাছাড়াও ওই গঞ্জের জনবসতিও খুব ঘন। বিডিও অফিস, বড় একটি স্কুল, রেজিস্ট্রি অফিস, বিএলএলআরও অফিস, বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ও সরকারি বেসরকারি অফিস থাকার ফলে তাঁদের কর্মীরা ওই গঞ্জেই বাসা ভাড়া করে থাকেন। এছাড়াও ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষ ওই গঞ্জের উপর নির্ভরশীল। গঞ্জের বাসিন্দারা বলেন, রাতে শারীরিক কোনও সমস্যা হলে দাসপুর বাজার থেকে ওষুধ কেনার কোনও সুযোগ নেই। রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ওষুধের দোকান বন্ধ থাকে। তার মাঝে ওষুধের প্রয়োজন হলে আট কিলোমিটার দূরে ঘাটালে যেতে হয়। যাদের বাড়িতে বাইক নেই, তাঁদের ওষুধ কেনার জন্য গাড়ি ভাড়া করেই ঘাটাল হাসপাতাল চত্বরে যেতে হয়।
বিসিডিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাসপুর গঞ্জে ১৩টি ওষুধ দোকান রয়েছে। একটি করে দোকান যদি পালা করে খুলে রাখা যায় তাহলে গঞ্জের মানুষকে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না। দাসপুর গঞ্জের বাসিন্দা তথা দাসপুর-১ ব্লকের সাগরপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মানসকুমার মান্না বলেন, কোন দোকান সপ্তাহের কোনদিন রাতে খুলে রাখা হচ্ছে, তার একটি তালিকা যাত্রী প্রতীক্ষালয় বা প্রত্যেকটি ওষুধের দোকানের সামনে টাঙিয়ে রাখলে মানুষজন সহজেই জানতে পারবেন।
দাসপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, এমনিতেই রাতে সারা গঞ্জে পুলিসের টহল থাকে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে ওষুধের দোকান খুলে রাখা হলে স্বাভাবিক কারণেই পুলিস নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু এনিয়ে তাদের কাছে কোনও প্রস্তাব আসেনি।