কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রায় বছর পাঁচেক আগে মেমারি শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে একটি উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পথসাথী থেকে মেমারি রেলগেটের উপর দিয়ে চেকপোস্ট তেমাথা পর্যন্ত তৈরি করার প্রস্তাব পাশ হয়। যেহেতু উড়ালপুলের অধিকাংশ রেল লাইনের উপর দিয়ে তৈরি হওয়ার কথা, সেহেতু সেই অংশের খরচ রেলের। রেল-রাজ্য যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পর ডাকা হয় টেন্ডার। তা পাশ হওয়ার পর কাজও শুরু হয়। জমি মেপে জিটি রোডের দু’ধারের বহু গাছ কাটা হয়। এরপরই হঠাৎ থমকে যায় উড়ালপুলের কাজ। দেখতে দেখতে প্রায় পাঁচ বছর কাটলেও আশার আলো দেখেননি মেমারিবাসী। উড়ালপুল না হওয়ার জন্য অবশ্য রেলকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমুল। অভিযোগ, অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ হয়েছে রেলের জন্যই। মেমারি শহর তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ওয়ার্ক অর্ডার পাশের পর যানজট থেকে মুক্তির আশা দেখেছিল মানুষ। কিন্ত কাজ শুরুর পর হঠাৎ থার্ড লাইনের কাজ শুরু হয়। এর জেরে থেমে যায় উড়ালপুলের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ। আমরা একাধিকবার বলেও কোনও ফল পাইনি। এদিকে দিনের পর দিন মানুষের দূর্ভোগ বেড়ে চলেছে। অফিস টাইমে পথসাথী থেকে মেমারি পৌরসভা যেতে প্রায়ই আধ ঘণ্টা কিংবা তারও বেশি সময় লেগে যায়। গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়। গোটা মেমারি শহরের যানজটের কারণ ওই ফ্লাইওভার না থাকা।
একই সুরে রেলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম। তাঁর অভিযোগ, একাধিকবার আমি এনিয়ে সোচ্চার হয়েছি। রেলকে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উড়ালপুল হলে লাভবান হতেন সাধারণ মানুষ। রেলের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হোক এটাই চাইব।