গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রঘুনাথপুর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চর্চা এখন তুঙ্গে। প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। পঞ্চায়েত থেকে জেলার পর্যায়ের নেতা, সকলেই নিজের মতো করে গোষ্ঠী তৈরি করছেন। নিজের সমর্থন জোগাড় করার জন্য লবি করছেন, নেতাদের ধরছেন। তার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায়, পোস্টারে, ব্যানারে নিজেদের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের প্রচার করছেন। ফলে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই শুরু হয়েছে। কেউ কেউ সেই সুযোগে নিজেকে জাহির করছেন। তবে, বিজেপির প্রভাবশালীরা কাউকে চটাচ্ছেন না। সবাইকে চেষ্টা করব বলে ঝুলিয়ে রাখছেন। অবশ্য বিজেপির নেতারা বলছেন, পরিবার বড় হচ্ছে। সকলেই এগিয়ে আসছেন। বড় হওয়ার ইচ্ছা থাকাটা ভালো। কে প্রার্থী হবেন, সেটা দল বিবেচনা করবে।
সাঁতুড়ি, নিতুড়িয়া, রঘুনাথপুর-১ ব্লক ও রঘুনাথপুর পুরসভা নিয়ে রঘুনাথপুর বিধানসভাটি গঠিত। দীর্ঘদিন ধরে বিধানসভাটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণচন্দ্র বাউরি ভোট পেয়েছিলেন ৮৩ হাজার ৬৮৩টি। সেখানে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ২৪ হাজার ৯১২টি। তবে তারপর থেকেই বিজেপির পাল্লা ভারী হতে শুরু করে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এখানে ভালো ফল করে। বর্তমানে বিধানসভার অন্তর্গত ২০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটি রয়েছে বিজেপির দখলে। ‘মোদি ম্যাজিকে’ ভর করে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী এই কেন্দ্র থেকে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে লিড পান।
বিজেপির দাবি, তাদের শক্তঘাঁটি রঘুনাথপুর বিধানসভা। তাই বিধায়ক হওয়ার জন্য আইনজীবী, ব্যবসায়ী, জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের নেতারা, মণ্ডল সভাপতিরাও দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন। এতে গেরুয়া শিবিরে কোন্দল বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, একসময় রঘুনাথপুরে বিজেপির প্রার্থী খুঁজতে আমাদের বেগ পেত হতো। আজ সেখানে ১৫ জন আবেদন জানিয়েছেন। আমি মনে করি, সেই তালিকা আরও বাড়বে। বিজেপি শক্তিশালী হচ্ছে। তবে দল যাঁকে টিকিট দেবে, বাকিরা তাঁকে সাদরে মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে। গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র নব্যেন্দু মাহালি বলেন, বিজেপি দলে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যখন একটা দলে একাধিক গোষ্ঠী থাকে তখনই এমন ছবি সামনে আসে। তবে ওদের নিয়ে আমরা ভাবছি না। উন্নয়নের নিরিখে এই বিধানসভায় জয়ী হবে তৃণমূল। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।