পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এব্যাপারে অরিন্দমবাবু বলেন, এনিয়ে আমার কিছু বলার নেই। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তাঁরা দলের কাছে বিষয়টি জানালেই নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি ছিলেন বিপ্লব সিকদার। ২০১৮সালের ২৩মে রাতে শান্তিপুর মেলের মাঠ দক্ষিণপাড়ায় বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বিপ্লববাবুকে গুলি করে খুন করে। এরপরই বিজেপি ও নিহত নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরাই খুনের ঘটনা সঙ্গে যুক্ত। সেইসময় মোট ১৭ জনের নামে শান্তিপুর থানার খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। এমনকী ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে’। সেই খুনের ঘটনার আড়াই বছর পর শান্তিপুরের বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মৃত ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী শঙ্করীদেবী স্বামীর ছবি আগলে বসে রয়েছেন। তাঁর চোখে, মুখে ক্ষোভ। তিনি বলেন, ওই রাতের ঘটনা ভুলতে পারছি না। ঘরে ঢুকে স্বামীকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। বিধায়ক তাঁর লোকজন দিয়ে স্বামীকে খুন করিয়েছে। অথচ সেই দলেই তিনি এখন যোগ দিয়েছেন। এটা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে স্বামীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শুনেছি বিধায়ক সেখানে মালা দিতে আসবে। কিন্তু আমি কখনোই তাঁকে ওই মূর্তি স্পর্শ করতে দেব না। এলাকায় বিধায়ক এলে তাঁকে ঝাঁটাপেটা করব। আমাদের কোনও সাহায্যের দরকার নেই। শুধু স্বামীর খুনের বিচার চাই।
স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা ৬১নম্বর বুথের বিজেপির বর্তমান সভাপতি পবন বিশ্বাস বলেন, বিপ্লবের মতো আমিও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্বের মতামত ছাড়াই বিধায়ককে দলে নেওয়া হয়েছে। এটা মেনে নিতে পারছি না। প্রয়োজনে আমরা ঘরে বসে থাকব, বিজেপি ছেড়ে দেব, কিন্তু বিধায়ককে মেনে নিয়ে দল করতে পারব না।
এদিন সকাল থেকেই শান্তিপুর টাউন-১ বিজেপির সভাপতি বিপ্লব করের বাড়িতে হাজির হন দলের স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাও বিধায়ককে বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। অনেক বুথ সভাপতি বিজেপি থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন। এনিয়ে বিপ্লববাবু বলেন, দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ রয়েছে। বিষয়টি আমি উচ্চ নেতৃত্বকেও জানিয়েছি।
এদিন সকালে শান্তিপুরের ডাকঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় শাসকদলের নেতাকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কের ছবি সম্বলিত ফ্লেক্স খুলে ফেলেন। সেই কাজে হাত লাগান শান্তিপুর শহর তৃণমূল সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র। তিনি বলেন, ওই বিধায়ক কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর দলবদলে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না। শান্তিপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আছে। বিধায়ক দল ছেড়ে চলে যাওয়ায়, দলের কাজের ক্ষেত্রে বাধামুক্ত হলাম। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, একুশের নির্বাচনের আগে বিধায়কের দলবদল, কার্যত গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের মনোবলে আঘাত করেছে।