পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত দত্ত বলেন, সাজু শেখ নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি হাজারদুয়ারির ঠিকা কর্মী ছিল। কাজ নিয়ে তার সঙ্গে সেখানকার বড়বাবুর বচসা হয়। সেই সময় সে হঠাৎ করেই ব্যাগ থেকে ধারালো দা জাতীয় অস্ত্র বের করে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। এই ঘটনা শুনে অনেকেই শিউরে উঠেছিলেন। মুর্শিদাবাদ থানায় অভিযোগ হওয়ার পরেই অভিযুক্ত সাজু শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সাল থেকে মামলা চলার পর এদিন বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া তাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আলাউদ্দিন শেখ নামে আর এক ব্যক্তিকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা অনাদায়ে তাকে আরও পাঁচ বছর জেলে থাকতে হবে। খুন করার পর নবগ্রামে তার ওই আত্মীয়ের বাড়িতে সাজু লুকিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছিল। সমস্ত কিছু প্রমাণের উপর ভিত্তি করে ৩০২ধারায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তারপরই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীও ছিল। তাদেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা করেই ওই আধিকারিককে খুন করা হয়। তিনি সকালের দিকে নিজের অফিসে একা বসেছিলেন। হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি তাঁর অফিসে চলে আসে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আধিকারিককে কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ার পরও তাঁকে কোপ মারা হয়। তারপরে সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সে নবগ্রামে তার আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দু’দিনের মধ্যেই তাকে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে আনে। বেশ কয়েক মাস জেল খাটার পর সে জামিন পেয়েছিল। তাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পুলিস তার আত্মীয়কেও সেইসময় গ্রেপ্তার করে। অপরাধ করার পর কাউকে আশ্রয় দেওয়া আইন বিরোধী। বহরমপুর আদালতের আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, আমাদের আদালতে অনেকদিন পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হল।
হাজারদুয়ারির এক কর্মী এদিন বহরমপুর আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, সবে সেইসময় আমি কাজে যোগ দিয়েছিলাম। তার মধ্যেই ওই ঘটনা হয়েছিল। এই খুনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দেরিতে হলেও অপরাধীরা সাজা পেল। এটা বড় বিষয়। তবে তারা এই রায় নিয়ে হাইকোর্টে যেতে পারবে। সেখানে কী হবে বলা যাচ্ছে না। আমরা চাই ওর ফাঁসি হোক। অত্যন্ত পরিকল্পনা করে আমাদের ওই আধিকারিককে সে খুন করেছিল। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে এই ধরনের অপরাধ করার আগে দুষ্কৃতীরা ভাববে।