পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শ্রমদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা যোজনার পাঁচটি প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উপভোক্তাদের মোট ১৪০ কোটি ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই যোজনায় ভবিষ্যনিধি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নির্মাণকর্মী ও পরিবহণ কর্মীদের জন্য সুরক্ষা ও বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে মোট ১২লক্ষ ৭৫৫৪জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যনিধি, বিড়ি শ্রমিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮লক্ষ ৫৬হাজার ৪১৬জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়া নথিভুক্ত নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন ৩লক্ষ ১৯হাজার ২৯২জন ও পরিবহণ শ্রমিক রয়েছেন ৩১হাজার ৮৫৯জন। গত ১০ বছরে নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া হয়েছে মোট ৭১কোটি ৩৯লক্ষ টাকা, পরিবহণ শ্রমিকদের ৬কোটি ৪৯লক্ষ টাকা এবং ভবিষ্যনিধি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬২কোটি ১৭লক্ষ টাকা।
হলদিয়ার ডেপুটি লেবার কমিশনার মিহির সরকার বলেন, এখন শ্রম দপ্তরের তৎপরতার ফলে অনেক বেশি শ্রমজীবী মানুষ সুরক্ষা যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতি বছর শ্রমিক মেলার পাশাপাশি ব্লকে বা বিভিন্ন ক্যাটাগরির শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে শিবির করার ফলে উপভোক্তার সংখ্যা বহু গুণ বেড়েছে। প্রতি বছর গড়ে দেড় লক্ষের বেশি মানুষ নাম নথিভুক্ত করছেন। গত পাঁচ বছরে উপভোক্তার সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। সহায়তা দেওয়ার পরিমাণ বছরে গড়ে ২৫কোটি টাকা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৯-২০সালে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল প্রায় ৩১হাজার। এক বছরে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ২৬কোটি টাকা। তবে করোনার জন্য এবছর সমস্যা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে ২০২০-২১সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত হয়েছে ৩২হাজার ৬৭৯জনের। ২১৮৫জন উপভোক্তা দু’কোটি ৮০লক্ষ টাকা সহায়তা পেয়েছেন।
শ্রম দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গত বছর মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কোনও শিবির করা যায়নি। তবে করোনা পর্বে অনলাইন ব্যবস্থা চালু থাকায় উপভোক্তারা তার সুবিধা পেয়েছেন। জানুয়ারি থেকে শ্রমিক মেলা ও বিভিন্ন শিবিরের মাধ্যমে দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ চলছে। ২২জানুয়ারি হলদিয়ায় দু’দিনের শ্রমিক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ২০২০সালের এপ্রিল থেকে রাজ্য সরকার বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা চালু করেছে। এর ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ডে আগে উপভোক্তাকে প্রতি মাসে ২৫টাকা করে জমা দিতে হতো এবং সরকার সেই ফান্ডে ৩০টাকা দিত। এখন সরকার নিজেই উপভোক্তার ২৫ টাকা জমা দিচ্ছে।