পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সময় ভাতার বিধানসভা আসনেও ঘাসফুল ফোটে। ২০১৬ সালেও এই আসন ধরে রাখতে সমর্থ হয় শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে শুরু করায় তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা যে বেড়েছে তা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষই বলছেন। ওড়গ্রামের বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, রাস্তা থেকে আলো, নিকাশি থেকে পানীয় জল সবক্ষেত্রেই কাজ হয়েছে। যা বাম জমানার ৩৪ বছরে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। নাসিগ্রামে স্টেডিয়াম হয়েছে। স্কুলগুলির উন্নয়ন হয়েছে। আইটিআই কলেজ হয়েছে। চাষের কাজে বহু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ভাতারের বাসিন্দা করুণা সিংহ, চন্দন মণ্ডল, ইকবাল শেখ বলেন, তৃণমূলের আমলে বহু নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে। সেরুয়া, নতুনগ্রাম, নাসিগ্রাম, পালার, খোলদা, গ্রামডিহি, মহাচান্দা, বনপাস, হানারগ্রাম, নিত্যানন্দপুর, সাহেবগঞ্জ, মহাতি সহ গোটা এলাকার সাধারণ মানুষ সেই সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
ভোট ঘোষণার আগেই শুধুমাত্র উন্নয়নের উপর ভর করে ভাতার বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত আয়মাপাড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মীরা গ্রামজুড়ে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই দেওয়াল লিখছেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হচ্ছে দেওয়ালে। কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, সবুজসাথী থেকে রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে কৃষকবন্ধু সহ নানা প্রকল্পই উঠে আসছে দেওয়ালে দেওয়ালে।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ভাতার বিধানসভা ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। গত ১০ বছরে এলাকার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। তাই উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলি দেওয়াল লিখনে তুলে ধরা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের থেকে সামনের বিধানসভা ভোটে আরও বেশি ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জিতবেন বলে আশা তাঁর। তিনি বলেন, পাশাপাশি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচারও শুরু করেছেন। বিরোধীরা ভাতারে কিছুই করতে পারবে। এখানকার মানুষ এলাকার বিজেপি নেতাদের চেনেন না। তাদের কোনও সংগঠন নেই।
পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প বাংলায় চালু না করায় ভাতারের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। পুলিস শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। একাধিক প্রকল্পে অনিয়ম হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। ভাতারে বিজেপির সংগঠনের বিষয়ে সন্দীপবাবু আরও বলেন, সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন। সময় হলেই মানুষ জবাব দেবেন।