পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন তাণ্ডব চলাকালীন বিজেপির জেলার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দীর্ঘক্ষণ পার্টি অফিসেই বন্দি ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা বিজেপি কর্মীরা এলাকায় কাঁপাতে থাকেন। ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়। মারমুখী আদিদের দাপটে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকজন কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেও পারে তাঁরাও পাল্টা আক্রমণে নামেন। লাঠি, রড নিয়ে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েন। উভয়পক্ষ তখন সম্মুখ সমরে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দাপটে পিছু হটতে শুরু করে আদিরা। সেই সুযোগে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো শুরু হয়। দুপুর ২টো থেকে শুরু হওয়া ইটবৃষ্টি বিকেল পৌনে ৪টেতেও থামেনি। আতঙ্কিত লোকজন ছোটাছুটি শুরু করেন। বন্ধ হয়ে যায় এলাকার দোকানপাট। ঠিক সেই সময়েই আকাশে উড়তে শুরু করল ড্রোন।
অনেকেই ড্রোন ওড়ার ছবি মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করতে থাকেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পুলিস চলে আসে। পুলিস গাড়ি থেকে নেমেই শুরু করে লাঠিচার্জ। তারপরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় উভয়পক্ষের লোকজন।
বিক্ষোভে যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মীদের দাবি, বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রেখেছিল। তাই তারাই গন্ডগোলের ছবি ধরে রাখার জন্য জেলা কার্যালয় থেকে ড্রোন উড়িয়েছে। তবে ড্রোন ওড়ানোর কথা অস্বীকার করেছেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার আহ্বায়ক কল্লোল নন্দ। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরাও ড্রোন উড়তে দেখেছি। কিন্তু আমরা ওড়াইনি। সংবাদ মাধ্যম বা পুলিসের তরফে ড্রোন ওড়াতে পারে।’ পুলিসও ড্রোন ওড়ানোর কথা অস্বীকার করেছে। তাহলে কারা ড্রোন ওড়াল, সেই প্রশ্নটা থেকেই গেল।
আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব মেটাতে এদিন বর্ধমান জেলা পার্টি অফিসে বৈঠক ডেকে ছিলেন বর্ধমান জেলা বিজেপি পর্যবেক্ষক সরওয়ার ধনানিয়া। বৈঠকের আগেই পার্টিঅফিসের ভিতরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের তিনকর্মীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়েই ধুন্ধুমার বাধে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে চারটি গাড়ির আগুন নেভায়। ঘটনাস্থল থেকেই চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
যদিও এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির আদি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংগঠনের কাজ করেছেন তাঁরা। দলবদলুরা এসে এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যদিও ক্ষুব্ধ বিজেপিকর্মীদের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি বর্ধমান জেলার সহ সভাপতি প্রবাল রায় বলেন, যাঁরা পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে তাঁরা বিজেপি কর্মী নয়। অর্থের লোভে পিকে-তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে।