পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুরে বৈধ বালির ঘাটের সংখ্যা অপ্রতুল। পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর কিংবা হুগলি জেলায় বালিঘাটের সংখ্যা অনেক বেশি। সেজন্য ভূমি দপ্তরের মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব সংগৃহীত হয়। সেই তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুরে বৈধ বালিঘাটের সংখ্যা মাত্র ন’টি। তার মধ্যে সুতাহাটায় হলদি নদীতে পাঁচটি, মহিষাদল এবং নন্দকুমারে রূপনারায়ণ নদে দু’টি করে চারটি বৈধ বালিঘাট আছে। ঘাটের সংখ্যা মাত্র ন’টি হলেও জেলায় বালি এবং মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কম নেই। দীঘা উপকূলবর্তী বিভিন্ন জায়গায় বালিয়াড়ির বালি কেটে দেদার পাচার হয়। কোনও অনুমতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত ওইসব জায়গা থেকে বালি চুরি হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও রূপনারায়ণ, হলদির চর থেকে বালি ও মাটি কেটে চুরির করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লক এলাকাতেও মাটি চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এরফলে সরকারি রাজস্ব মার খাচ্ছে। এই অবস্থায় বেআইনিভাবে মাটি ও বালি পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শক্তপোক্ত করার পর গত এক সপ্তাহ ধরে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। তাতেই ২০টি লরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লরিকে এক লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
জেলায় বেশ কিছু ইটভাটা সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে বলে অভিযোগ। অনেকে ঠিকমতো রাজস্ব দেয় না। সরকারি জমির উপর বেশ কিছু ভাটা চলছে। রূপানারায়ণ, হলদি, রসুলপুর এবং কংসাবতী নদীর ধার থেকে মাটি কেটে ভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এরআগে রামনগরের এরকম কয়েকটি ঘটনায় এফআইআর হয়েছিল। মাটি ও বালি পাচারের পাশাপাশি বুধবার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এবং পুলিস মহিষাদলে বেশ কয়েকটি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল। মোট ছ’টি ভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) জানিয়েছেন। ওইসব ভাটা সরকারি খাসজমির উপর চলছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
৬ নম্বর, ৪১ নম্বর ও ১১৬বি জাতীয় সড়কের পাশাপাশি দীঘা-কাঁথি রুটে এক সপ্তাহ জুড়ে অভিযান চালিয়ে বালি ও মাটি পাচারের বিরুদ্ধে এই সাফল্য পেয়েছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা এলাকাতে নাকা পয়েন্ট করা হয়েছিল। সেখানেও বেশ কয়েকটি লরি ধরা হয়েছে। এব্যাপারে জেলাশাসক বিভূ গোয়েল বলেন, বেআইনিভাবে মাটি ও বালি পরিবহণ করতে দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।