কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, আগে ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন করে পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করতে হতো। কিন্তু এখন সেই আবেদন নির্বাচন দপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে করলেই হবে। এমনকী নতুন কার্ড পেতে আগে ২৫টাকা জমা দিতে হতো। এখন ওই টাকা আবেদনকারী সরাসরি অনলাইন নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই জমা দিতে পারবেন। জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে হারিয়ে যাওয়া ভোটার কার্ড পেতে ন’হাজার আবেদন জমা পড়েছে। আগামী ২৫জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস থেকে আবেদনকারীদের ওই ভোটার কার্ড দেওয়া শুরু হবে।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার অপরাধজগতের অনেকেই ভোটার কার্ড না হারানো সত্ত্বেও নতুন করে ওই কার্ড পেতে আবেদন করবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, যেহেতু জেলার পূর্বদিকের একাংশ ভারত-বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া। তাই ওই সমস্ত এলাকায় বহু মানুষ আছেন যাঁরা কাঁটাতার পেরিয়ে চাষের কাজ করেন। তারজন্য বাসিন্দাদের ভোটার কার্ড বিএসএফের কাছে জমা রাখতে হয়। কিন্তু অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে তাঁদের অনেকেই ভোটার কার্ড না হারানো সত্ত্বেও নতুন করে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন জমা দেবেন। কারণ ওই সকল আবেদনকারীরা একটি ভোটার কার্ড বাড়িতে রেখে অপর ভোটার কার্ড দেখিয়ে অবাধে কাঁটাতার পেরিয়ে যাতায়াত করবেন। এতে সহজেই অপরাধ জগতের জাল বিস্তার সম্ভব বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে থানায় অভিযোগ করা বাধ্যতামূলক ছিল। তারপর সেই অভিযোগপত্র নিয়ে আবেদনকারীকে জেলা বা মহকুমা নির্বাচন দপ্তরে ফর্ম ফিলআপ করে তা জমা দিতে হতো। এরপর মহকুমা নির্বাচন দপ্তর থেকে তা পাঠানো হতো জেলা নির্বাচন দপ্তরে। পরবর্তীতে নতুন করে সেই ভোটার কার্ড ছাপিয়ে জেলা নির্বাচন দপ্তর পুনরায় মহকুমা নির্বাচন দপ্তর পাঠাত। পরে তা তুলে দেওয়া হতো আবেদনকারীদের হাতে। এর জন্য আবেদনকারীকে ২৫টাকার ডিসিআর কাটতে হতো।
কিন্তু এখন নির্বাচন দপ্তরের ওয়েবসাইট www.nvsp.in গিয়ে অনলাইনে ০০১ ফর্ম ফিলআপ করে হারিয়ে যাওয়া ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। জেলা নির্বাচন দপ্তরের এক কর্তা বলেন, অনলাইনে ওই আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী থানায় ডায়েরি করেছেন কিনা এমন কোনও তথ্য উল্লেখ করতে হচ্ছে না। তবে পরবর্তীতে যখন নতুন ভোটার কার্ড আবেদনকারীদের হাতে দেওয়া হবে সেক্ষেত্রে বিএলও বা ব্লক লেভেল অফিসাররা চাইলে, থানার ডায়েরির প্রতিলিপি দেখতে চাইতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি।