বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শান্তিনিকেতন সংলগ্ন হওয়ার সুবাদে বোলপুরে প্রতিদিন পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সেই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, অফিস যাত্রী সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন ও সাধারণ বাসিন্দারা কাজকর্মের জন্য বোলপুরের রাস্তায় যাতায়াত করেন। কিন্তু বোলপুরে পর্যাপ্ত রাস্তাঘাটের অভাব। বোলপুরের দুটি প্রধান রাস্তার ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া আছে অবৈধ পার্কিং। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের অস্বস্তি বাড়িয়েছে লাগামহীন টোটো। প্রতিদিন বোলপুর শহরের টোটো বাদ দিলেও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি থেকে প্রায় দুই হাজারের উপর টোটো সকালবেলায় এসে রাত্রিবেলায় ফিরে যায়। যত্রতত্র পার্কিং ও বেপরোয়াভাবে টোটো চালানোর ফলে একদিকে যেমন সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, তেমনি অন্যদিকে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে টোটোচালক ও রাস্তার উপর পার্কিং করে রাখা গাড়ির মালিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন বাসিন্দারা। সকাল থেকে দুপুর অবধি ও বিকেলের পর থেকে রাত্রি আটটা অবধি বোলপুর শহরের চলাচলের গতি থেমে যায় বললেই চলে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বোলপুরের বাসিন্দারা। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এই সমস্যা সমাধানের কোনওরকম সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না বোলপুর পুরসভা বা মহকুমা প্রশাসক। তাই কবে এই সমস্যার সমাধান হবে, তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। প্রশাসনের এই উদাসীনতার ফল প্রতিনিয়ত ভোগ করতে হচ্ছে বোলপুরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা পর্যটক সকলকেই।
বোলপুর পুরসভার প্রশাসক ওমর শেখ ও সুকান্ত হাজরা বলেন, ফুটপাত পুনরুদ্ধারের কাজ পুরসভা শুরু করেছে। মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করে রাস্তা দখলে রেখে কাউকেই ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। খুব শীঘ্রই বোলপুর শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। যত্রতত্র পার্কিং ও টোটো নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তিনি বলেন, পার্কিংয়ের বিষয়টি পুলিস প্রশাসনের আওতাভুক্ত। আমরা তাদের অনুরোধ করব বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, টোটো চালাতে কোনওরকম সরকারি নিয়মনীতির প্রয়োজন হয় না। লাগে না কোনও লাইসেন্স। তাই বেআইনি টোটোয় পরিবহণ নীতি লাগু করা যাচ্ছে না।
বোলপুরের স্কুলবাগানের বাসিন্দা গৌতম দেবাংশী, কালিকাপুরের বাসিন্দা তাপস দত্ত, হাটতলার বাসিন্দা মালতি ঘোষ বলেন, টোটো থাকায় সুবিধা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা দিনদিন বেড়ে চলায় সুবিধা আজ অসুবিধায় পরিণত হতে শুরু করেছে। ট্রাফিক নিয়ে কোনও কড়াকড়ি না থাকায় যত্রতত্র পার্কিং যানজট বাড়িয়ে তুলছে। পুলিস প্রশাসন ট্রাফিক নিয়ে কড়া মনোভাব নিলে এগুলি বন্ধ হতে পারে।