কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় রাজ্য সরকারের অধীন মোট ছ’টি হিন্দি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। কিন্তু জেলার ১৭টি বিধানসভা এলাকায় এতদিন একটিও আপার প্রাইমারি স্কুল ছিল না। যে কারণে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত হিন্দিভাষী পড়ুয়াদের চরম সমস্যায় পড়তে হতো। জানা গিয়েছে, ২০১৪সালে তৎকালীন রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক তথা বর্তমানে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ওই স্কুল করার উদ্যোগ নেন। তারপর জমি নিয়ে সমস্যার কারণে বেশ কয়েক বছর নতুন স্কুলের কাজ ঝুলে যায়। অবশেষে সব জট কাটিয়ে জেলায় প্রথম হিন্দি আপার প্রাইমারি স্কুলের জন্য অনুমোদন দেয় রাজ্য শিক্ষাদপ্তর।
পার্থসারথিবাবু বলেন, রানাঘাট শহরের বহু হিন্দিভাষী মানুষ রয়েছেন। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে শহরে আপার প্রাইমারি স্কুলের দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁদের সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ওই স্কুলে বর্তমানে ৪৪জন পড়ুয়া রয়েছে। জেলা শিক্ষাদপ্তরের এক কর্তা বলেন, স্কুলের ভবন নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেখানে পাকাপাকিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। চারজন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাড়া জেলায় আরও কয়েকটি হিন্দি আপার প্রাইমারি স্কুলের প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রানাঘাট শহরে রেললাইনের পূর্বপাড়ে থাকা ১৩নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট এই স্কুলে তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে। এছাড়াও মিডডে মিল, টিচার্স রুম, পড়ুয়াদের খেলাধুলোর জায়গা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকার যখন সবকিছুরই ব্যবস্থা করেছে, তখন পুরোদমে স্কুল চালু হলে নিশ্চয়ই স্থায়ী শিক্ষকের ব্যবস্থাও হবে।
শহরের নাসরা এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত পাণ্ডে বলেন, আমি পেশায় লরিচালক। বিহারে আদি বাড়ি থাকলেও ১৬বছর রানাঘাট শহরে রয়েছি। কিন্তু হিন্দি ভাষায় পড়াশোনা করার জন্য এতদিন ছেলেকে নৈহাটির একটি স্কুলে যেতে হতো। এখন বাড়ি থেকে হেঁটে ১৫মিনিট গেলেই ওই হিন্দি আপার প্রাইমারি স্কুল মিলছে। তাই ওকে নতুন করে এই স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। এতে আমাদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।