পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মাস খানেকের মধ্যেই ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের সভাপতি না থাকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। গত মাসেই জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তারপর থেকেই এই পদ শূন্য ছিল। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচি হলেও নেতা না থাকায় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে বাংলার রাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞ অপূর্ববাবুকে জেলার সর্বোচ্চ পদে এনে একাধিক বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। পরিবর্তনের সেই বছরে ভালো ফল হয়েছিল শিল্পাঞ্চলেও। ভোটের আগে দায়িত্ব নিয়ে সফলতা পেয়েছেন। তাঁর মতো এক বর্ষীয়ান নেতা এই পদে আসায়, অন্য নেতাদেরও ক্ষোভ প্রশমন হবে বলেই আশাবাদী নেতৃত্ব। এমনকী যে সব কর্মী, নেতারা দলের প্রতি অভিমানে দূরে সরে গিয়েছিলেন, অপূর্ববাবুকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে তাঁদেরও ফিরে আসার রাস্তা সুগম করা হল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রায় চার বছর দলের প্রতি অভিমানে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেননি অপূর্ববাবু। তাঁর মতোই আরও অনেক নেতা-কর্মী বিভিন্ন সময়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে গিয়েছিলেন। অপূর্ববাবুর মতো পুরনো বসে যাওয়া নেতাকে পদ দিয়ে ফিরিয়ে আনায় পুরনো দিনের কর্মীরা দলের সম্মান পাওয়ার আশা করছেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের জেলার নেতারা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়ায়, সেই সম্ভাবনাই আরও প্রবল হয়েছে। এছাড়া অপূর্ববাবু জেলা সভাপতি হওয়ায় দুর্গাপুরে শাসক দলের সংগঠনের হাল অনেকটাই ফিরবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
এদিন জেলাজুড়ে পুরনো নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। যা ভোটের মুখে অত্যন্ত তৎপর্যপূর্ণ। দায়িত্ব পাওয়ার পরই ‘বেসুরো’ নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন নতুন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, এই সময়ে ক্ষোভ থাকলে তা আমাদের জানান। এটা বাইরে বলে বিতর্ক বাড়ানোর সময় নয়।
তবে শুধু জেলা সভাপতি ঘোষণাই নয়, আরও বেশ কিছু দায়িত্বের রদবদল করা হয়েছে। আগে জেলায় দু’জন কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও হরেরাম সিং। এখনও আরও দু’জনকে জেলা কো অর্ডিনেটর করা হয়েছে। ভি শিবদাসন দাসুকে আসানসোল উত্তর ও আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কো অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কো অর্ডিনেটর করা হয়েছে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি বারাবনি ও কুলটির দায়িত্বে এসেছেন।