বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শতাব্দীদেবী ফেসবুক পোস্টে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নানা রাজনৈতিক জল্পনা সৃষ্টি হয়। এমনকী তিনি টিআরডিএর সদস্য পদেও থাকতে চান না বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। যদিও ওইদিন রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিমানী সংসদ সদস্যের মানভঞ্জন হয়। এরপরই বাংলার স্বার্থে গোটা তৃণমূল পরিবারকে এক হয়ে লড়াই করার বার্তাও তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
মানভঞ্জনের পর এদিন রামপুরহাটে আসেন শতাব্দী রায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভ। আমি তো এখানকার এমপি। আমার দায়িত্ব আছে। কেন এমন পরিস্থিতি হবে, যেখানে আমি আসি না বলে প্রশ্ন উঠবে। যেখানে আমার কোনও দোষ নেই, সেখানে কেন এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। যদি সাংসদ তহবিল খরচ করাই এমপির কাজ হয় সেটা তো আমি করছি। শুধু নির্বাচনে সময় ভোট চাইতে মানুষের কাছে যাব, সেটার পক্ষপাতি আমি নই। আমি সবসময় মানুষের কাছে যেতে চাই। কিন্তু সেই কর্মসূচি সংগঠিত করার দায়িত্ব কাদের? আমি ব্লক, শহর সভাপতি ছাড়া যদি সেখানে যাই, তাহলে দলেরই সমালোচনা বাড়বে। তাই আমি চাই সবকিছু সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে চলুক, যাতে দলের ভালো হয়।
শনিবার হাসনের বিষ্ণুপুরে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, উনি (শতাব্দী) যদি চান তাহলে বিধানসভা ভোটের প্রচার করতে পারেন। উত্তরে তিনি বলেন, উনি ডাকবেন কেন? আমি তো এমনিতেই স্টার ক্যাম্পেনার। শুধু এই রাজ্য নয়, বাইরেও প্রচারে গিয়েছি। এবারও রাজ্যজুড়ে দলের হয়ে প্রচার করব। উনি আমাকে চাইছেন, কী চাইছেন না সেটা উনি বলবেন। সময়ের সঙ্গে সবকিছু সমস্যার সমাধান হবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন। টিআরডিএর সদস্যপদ ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দু’বার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু গ্রহণ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে পদত্যাগপত্র দিয়ে ইস্যু করতে চাই না। তবে আমি টিআরডিএতে থাকতে চাই না। আমার মনে হয় না টিআরডিএতে মতামত দেওয়ার কোনও জায়গা আছে। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া তো দূরে থাক, আলোচনার জায়গা পর্যন্ত যদিও না পৌঁছয় তাহলে সেই পদ আটকে রেখে লাভ কী। তবে প্রতিটি মিটিংয়ে ডাক পাই সেটা ঠিক।
তিনি বলেন, দলের যারা আমার মতো অভিযোগ করছেন সেগুলি সত্যি। দলের উচিত তাঁদের অভিযোগ যাচাই করে প্রত্যেককে প্রাপ্য সম্মান পাইয়ে দেওয়া। তবে রাজ্য সহ সভাপতি হওয়ার পর এই জেলার কোনও নেতা বা মন্ত্রীতাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বা দেখা করেননি বলেও জানান এমপি।
এ ব্যাপারে রামপুরহাট বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার কলকাতা যাওয়ার তাড়া থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায়নি। টিআরডিএর প্রত্যেকটি মিটিংয়ের কথা তাঁকে জানানো হয়। উনি না আসলে প্রতিনিধি পাঠিয়ে দেন। তাঁর কথারও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এরপরও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে উনি লিখিতভাবে জানান। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।