কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, দীঘা থেকে কাঁথির শৌলা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সমুদ্র তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভ তৈরি শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। বর্তমানে দীঘার দিক থেকে ডাবল লেনের মেরিন ড্রাইভ তৈরি হচ্ছে। দীঘা থেকে উত্তরে শঙ্করপুরের আগে ন্যায়কালী মন্দির পর্যন্ত সেই ডাবল লেনের কাজও সিংহভাগ হয়েও গিয়েছে। উদ্দেশ্য হল, পর্যটকরা দীঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ব্যবহার না করে সমুদ্র দেখতে দেখতে দীঘায় পৌঁছে যাবেন কিংবা দীঘার দিক থেকে আসবেন। রাস্তায় সংযোগকারী তিনটি সেতু তৈরি হচ্ছে যথাক্রমে দীঘার ন্যায়কালী মন্দির, তাজপুর মোহনা ও কাঁথির শৌলায়। সেতু তিনটি তৈরি হয়ে গেলে পুরো ৪০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভকে একসূত্রে বাঁধবে। এর ফলে পর্যটকদের কাছে জাতীয় সড়কের তুলনায় দীঘার দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে।
যদিও যতটা রাস্তা তৈরি হয়েছে, এখন তাতেই গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান পর্যটকরা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটকরা চাইলেও তাজপুর ও শঙ্করপুরের ওই মেরিন ড্রাইভে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন না। এদিকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেচদপ্তর শঙ্করপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত কংক্রিটের সমুদ্রপাড় নির্মাণের কাজ করছে। পাড় বাঁধানোর কাজের জন্য প্রতিনিয়ত ভারী লরি যাতায়াত করছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মেরিন ড্রাইভ রাস্তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই সমুদ্রপাড় বাঁধানোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাজ কোনওভাবেই শুরু করা যাবে না বলে উন্নয়ন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা সংশ্লিষ্ট তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ জানা বলেন, পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা ভেবে মেরিন ড্রাইভ সংস্কারের জন্য উন্নয়ন সংস্থার কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, তাজপুর থেকে শঙ্করপুর পাড় বাঁধানোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ওই কাজ শেষ হয়ে গেলেই আমরা মেরিন ড্রাইভের সংস্কারের কাজ শুরু করব।