কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তারপর ক্যাম্পে ছবি তোলা হয়। শনিবার দুপুরে আরামবাগ শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভাশিস রায়ের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হল। পুরসভার মানবিক এই উদ্যোগে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
শুভাশিসের এক আত্মীয় বলেন, চারমাস আগে মার্বেলের দোকানে কাজ করার সময় শুভাশিসের পা কেটে যায়। সুগার থাকায় তাঁর পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এতদিন সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এরইমধ্যে চিকিৎসক তাঁর পায়ে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে বলেন।
গত বুধবার আরামবাগে ফিরে আসেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য। কিন্তু, হাঁটাচলা করতে না পারায় ক্যাম্পে গিয়ে কী করে ছবি তুলবেন, সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই খবর পেয়েই স্বপনবাবু পুরসভার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ন’পাড়ায় স্বাস্থ্যসাথীর ক্যাম্পে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছবি তুলে তাঁর হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন শুভাশিসবাবুর পরিবার।
এছাড়াও শুক্রবার বিকেলে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে হাসপাতালে যান আরামবাগের জয়েন্ট বিডিও অয়ন রক্ষিত, আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেখানে ওই রোগীর ছবি তোলা হয়।
তারপর তাঁরা মায়াপুরের বাসিন্দা দিনবন্ধু ঘোষের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন মায়াপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরের বাসিন্দা দিনবন্ধু ঘোষ। তাঁর ছেলে রাজদীপ ঘোষ বলেন, দু’বছর আগে বাবার শরীর খারাপ হওয়ায় কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বাবার হার্টের দু’জায়গায় ৫০ শতাংশ করে ব্লকেজ রয়েছে। তারপর থেকেই বাবা আর ভালো কাজ করতে পারেন না। বাবার চিকিৎসা তখন থেকেই চলছিল। চিকিৎসার খরচ যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে হয়ে যায়, তার জন্য আমরা মুথাডাঙ্গায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে ফর্ম তুলেছিলাম।
ছবি তোলার ডেট ছিল কিছুদিন পর। তার আগেই বৃহস্পতিবার বাবাকে চিকিৎসার জন্য আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। চিকিৎসকরা ভালো হার্টের ডাক্তারকে দেখানোর জন্য বলেন।
এদিকে আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেতে দেরি ছিল। তাই বিষয়টি আমরা আরামবাগ প্রশাসনকে জানাই। সেইমতো প্রশাসনের আধিকারিকরা হাসপাতালে এসে ছবি তুলে বাবার হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিয়ে গিয়েছেন। প্রশাসনের এই সক্রিয় ভূমিকায় আমরা খুবই খুশি।