কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেইমতো কোল্ড চেইন পয়েন্ট সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জেলার প্রায় ৩৯হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।
শনিবার কান্দি মহকুমা এলাকার দুটি হাসপাতালে করোনা টিকা দেওয়া হয়। যা নিয়ে খুশি ও স্বস্তির বক্তব্য শোনা গেলে টিকা নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে। এদিন সকাল ১০ টা নাগাদ কান্দি মহকুমা হাসপাতাল ও সালার গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা টিকার কাজ শুরু হয়। সালার হাসপাতালে প্রথম টিকা দেওয়া হয় আশাকর্মী আগমনী চট্টরাজগঙ্গোপাধ্যায়কে এবং কান্দি মহকুমা হাসপাতালে প্রথম টিকা দেওয়া হয় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গোবিন্দ প্রসাদ গুপ্তকে।
দুটি হাসপাতালে প্রথম দিকে টিকা নেওয়ার জন্য হাজির স্বাস্থ্য কর্মীদের খুব একটা এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। অনেকে কে আগে নেবে তাই ভেবে উঁকিঝুকি মারতে থাকেন। প্রথমে নাম ডেকেও অনেককে হাজির করাতে পারছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে সকলেই টিকা নেন। কান্দি হাসপাতালের চিকিৎসক গোবিন্দবাবু বলেন, ৯-১০ মাস ধরে আমরা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করে গিয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে রোগীর বাড়িতে গিয়েও চিকিৎসা করেছি। এদিন ভ্যাকসিন পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এবার সবাই যাতে ভ্যাকসিন পান, সেই ব্যবস্থা করলে আরও খুশি হব।
সালারের আশা কর্মী আগমনীদেবী বলেন, ভ্যাকসিন পেয়ে খুব স্বস্তি পেলাম। তবে শুধু আমাকে নয়। যেদিন প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন, সেদিনটি বিজয় উৎসব পালন করার মতো হবে।