গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ১৫টি জায়গায় ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তমলুক স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ন’টি ক্যাম্পে ১০৩৭জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট ছিল। তাঁদের মধ্যে ৯৯৫জন এদিন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে সিএমওএইচ জানান। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ছ’টি ক্যাম্পে প্রথম দিন ৯০০জন কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তাঁদের মধ্যে ৬২৫জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে ডেপুটি সিএমওএইচ-২সমুদ্র সেনগুপ্ত জানান। জেলাশাসক বিভূ গোয়েল এদিন তমলুক জেলা হাসপাতালের ক্যাম্পে ছিলেন। টিকা নেওয়া প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান জেলাশাসক। ২৮দিন পর প্রত্যেককে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আবেদন জানান ডিএম। এদিন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্পে হাজির ছিলেন এসডিও আদিত্যবিক্রম হিরানি। জেলাশাসক বলেন, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর এক বছরের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে এসেছে। এই সাফল্যের হাত ধরেই করোনা ভীতি থেকে আমরা মুক্ত হব। ধাপে ধাপে প্রত্যেকেই ভ্যাকসিন পাব।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১১টি কেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ঠিক ছিল, জেলায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, ঘাটাল এবং খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ ১৩টি জায়গায় টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু, টেকনিক্যাল কারণে হিজলি এবং চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে এদিনের ক্যাম্প বন্ধ ছিল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দোতলায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল, ডেপুটি সিএমওএইচ-১ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী সহ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের একাধিক কর্তা এদিন টিকা নেন। এছাড়াও চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এদিন টিকা নিয়েছেন। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে টিকা দেওয়া শুরু হয়। টিকা নিয়ে হু-র সার্ভিলেন্স মেডিক্যাল অফিসার শুভদীপবাবু বলেন, টিকা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সেই বার্তা দিতে হু-র প্রতিনিধি হিসেবে আমি প্রথম টিকা নিয়েছি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রথমদিনেই এই ঘটনায় শরিক হতে পেরে ভালো লাগছে। জেলায় সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি সিএমওএইচ-১ সৌম্যবাবু বলেন, মার্চ মাস থেকে করোনা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলাম। টিকা নিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, প্রথমদিনই টিকা নিতে পেরে একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অন্নদাশঙ্কর মহেশ বলেন, টিকা নেওয়ার আগে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। যদিও টিকা নিতে কোনও যন্ত্রণা হয়নি। এখন বেশ ভালো লাগছে।
ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রথমে টিকা নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা নার্স ও চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমার কোনও সমস্যা হয়নি। নির্ভয়ে ভ্যাকসিন নিন।
এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার, ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ত্রিদীপ দাস ভ্যাকসিন নেন। জেলায় চারটি জায়গায় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্যাম্প হয়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণাশিস হোতা বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও সমস্যা হয়নি। তবে দু’সপ্তাহ পার হলে আরও পরিষ্কার বোঝা হবে।