গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গুজবে কান দেবেন না। করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ। নির্ভয়ে করোনা টিকা নিতে পারেন। আমার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শনিবার থেকে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই আমি ভ্যাকসিন নিয়েছি। কোনওরকম সমস্যা হয়নি। শুধু আমি নই, প্রথম দিনেই আমার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ১০০জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা টিকা নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কারও কোনও সমস্যা হয়নি। তাই কোনওরকম ভুল প্রচারে কান দেবেন না।
ভ্যাকসিন নিয়ে এখন দেশজুড়ে আলোড়ন চলছে। এরই মাঝে যখন জানতে পারলাম, আমার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেই শনিবার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে, তখন একটু টেনশনে ছিলাম। কয়েকদিন ধরেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া নির্ভুল করতে বারবার আমরা মহড়া দিয়েছি। এরইমধ্যে জানতে পারলাম, খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমাদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন। দায়িত্ব আরও বাড়ল। অবশেষে আমার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিভাগ স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতায় প্রস্তুতি পর্ব শেষ হয়।
ভ্যাকসিন নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে, প্রথমে ঠিক করেছিলাম, নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে দেখতে চাই কোনও সমস্যা হয় কি না। কিন্তু, বিষয়টা কাউকে জানাইনি। যাতে ওরা চিন্তা না করে। সব কাজ মিটিয়ে শনিবার নিলাম ভ্যাকসিন। একজন চিকিৎসক হিসেবে বলছি, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বিন্দুমাত্র সমস্যা বুঝতে পারছি না। এমনকী যখন টিকা দেওয়া হয়, তখনও ব্যথা অনুভব হয়নি। অন্যান্য ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সামান্যতম উপসর্গ দেখা দেয়, এই ভ্যাকসিনে তাও দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন, তাঁরাও কিছু উপসর্গ অনুভব করেননি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পরিবারকেও জানিয়েছি। তারাও স্বস্তি পেয়েছে। তাই বাকিদের উদ্দেশে বলব, উৎকণ্ঠার কোনও কারণ নেই। আপনারা নির্ভয়ে এই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এসে আমাদের সাহস জুগিয়েছেন, তাতে আমরা আপ্লুত।
সুহৃতা পাল (অধ্যক্ষ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ): নির্দিষ্ট গাইড লাইন মেনে ভ্যাকসিন নিয়েছি। পরবর্তীতে কোনও শারীরিক অসুবিধাও অনুভব করিনি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত নানান কাজও করেছি। আর যেহেতু ভ্যাকসিন নেওয়াটা সেচ্ছাসেবা মূলক কাজ সেহেতু ঝুঁকি নিতেই হবে।
ডাঃ মলয় মণ্ডল (বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ):ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা অনেকদিন ধরে। অবশেষে ভ্যাকসিন নিতে পেরে অবশ্যই ভালো লাগছে। যদিও চিন্তামুক্ত হয়েছি এটা বলার সময় এখনও নয়। মাথায় রাখতে হবে করোনার নির্দিষ্ট চিকিত্সা এখনও নেই আমাদের কাছে। ভ্যাকসিন এই অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। ভ্যাকসিন আসার পর নিশ্চিত জীবন ফিরে পাওয়ার আশায় রইলাম।
মৌলিনা সাধুখাঁ (বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ার): ভ্যাকসিন সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর। তবে চিন্তামুক্ত হওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি। সাবধানতা অবলম্বন করা এখনও প্রয়োজন। ভ্যাকসিনেশন নিয়ে পার্শপ্রতিক্রিয়ার ভয় অনেকের থাকতে পারে। কিন্তু তাও ঝুঁকি নিতেই হবে করোনার কথা ভেবে।