বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাঘ মাসের সূচনাকে ‘আখাইন যাত্রা’ হিসেবে পালন করেন কুর্মি সম্প্রদায় সহ পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দারা। সেই উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ‘গরাম থান’, ‘জাহিরা থান’, ‘গুঁসাই থান’-এ গ্রাম দেবতার পুজোয় মেতে ওঠেন জেলাবাসী। কোথাও আবার মোরগ, ভেড়া বলি দেওয়া হয়। এই পুজো ঘিরে বিভিন্ন লোককথা এবং গ্রামদেবতার মাহাত্ম্যের কথা প্রচলিত রয়েছে। এই দিনটি কৃষিবর্ষের সূচনা হিসেবেও পালন করেন পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দারা।
কুর্মি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল মাহাত বলেন, পয়লা মাঘ নতুন কৃষিবর্ষের সূচনার দিন হিসেবে পালন করা হয়। এদিন সকালে কোথাও কোথাও মাছ দর্শনেরও প্রথা রয়েছে। এছাড়াও এদিন সকালে জমিতে আড়াই পাক লাঙল দিয়ে কৃষিকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। তাছাড়া এদিন শুভ কাজেরও সূচনা হয়। মানভূম কালচারাল অ্যাকাডেমির সভাপতি হংসেশ্বর মাহাত বলেন, কুড়মালি ভাষায় ‘আখাইন’ কথার অর্থ জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড। যাকে আমরা সূর্যের রূপ হিসেবে কল্পনা করি। এদিন থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণ শুরু হয়। জমিতে আড়াই পাক লাঙল দিয়ে আসার পর গোয়ালে থাকা গোরুর সিংয়ে তেল দেওয়া হয়, তাদের পা ধুইয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও গ্রামে গ্রামে চলে গরাম থানের পুজো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ‘আখাইন যাত্রা’ বা মাঘ মাসের প্রথম দিনে কৃষিবর্ষের সূচনায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মেলা বসে। কোথাও কোথাও আবার মোরগ লড়াই সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এদিন বাঘমুণ্ডি থানার মাঠা এলাকায় মাঠাবুরু মেলা উপলক্ষে বহু মানুষ ভিড় জমান।