পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের কুলেকুড়ির বাসিন্দা সুখময় চক্রবর্তী একটি গাড়ির শোরুমে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী রুমাদেবী দোবাঁদা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা। তাঁরা বর্তমানে দুবরাজপুরেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত মঙ্গলবার সুখময়বাবু তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে বাইকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময় দুর্ঘটনায় তিনি জখম হন। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে তাঁকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রুমাদেবী বলেন, আমার কাছে ভর্তি করার কোনও টাকা ছিল না। মাত্র এক হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম। দাদারাই ৭০ হাজার টাকা জোগাড় করে ভর্তি করেন। এখন সেখানে চিকিৎসার খরচ দেড়-দু’লক্ষ হয়ে গিয়েছে। ব্লক প্রশাসন এভাবে কার্ড করিয়ে দেওয়ায় অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। প্রশাসনের কর্তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। সুখময়বাবুর শারীরিক ও পারিবারিক অবস্থার কথা শুনে দুবরাজপুর ব্লক প্রশাসন ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর জন্য বাসিন্দাদের ক্যাম্পে আসতে হচ্ছে। কিন্তু, ওই রোগী বা তার পরিবার দুর্গাপুরে থাকায় ক্যাম্পে আসতে পারছিলেন না। তাই ব্লক প্রশাসনই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুবরাজপুর থেকে চারজন কর্মী-আধিকারিক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরে যান। সেখানে ছবি তুলে, আঙুলের ছাপ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়। দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বলেন, ওই পরিবারের কথা শুনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরিবারটি দুর্গাপুরে থাকায় হাসপাতালের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কার্ডের কাজ করা হয়েছে। আমরা চাই, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে সুখময়বাবু সুস্থ হয়ে উঠুন।