কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চিঠিতে শ্যামলবাবু চেয়ারম্যান হিসেবে কাজের সুযোগ দেওয়া এবং সহযোগিতার জন্য পুর পারিষদদের শুভেচ্ছা জানান। আগামী দিনে পুরসভাকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। হলদিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশুবাবু বলেন, শ্যামলবাবু চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। ব্যবসা বাণিজ্যের চাপ কিংবা স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে হয়তো ইস্তফা দিয়েছেন। এবিষয়ে ওঁর সঙ্গে আমরা কথা বলব। তিনি বলেন, শ্যামলবাবু পুর আইন মোতাবেক ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফাপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে সাতদিন সময় লাগবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই পদটি এখন ফাঁকা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট পঞ্চম পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্যামলবাবু। ওই সময় দেবপ্রসাদ মণ্ডল ও শ্যামলকুমার আদক দু’জন চেয়ারম্যান পদের দাবিদার ছিলেন। বোর্ড গঠনের দিন ওই দু’জনের নাম সভায় প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের তৎকালীন জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর হুইপ মেনে তৃণমূলের কাউন্সিলাররা শ্যামলবাবুকে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেন। শ্যামলবাবু বরাবর শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যাওয়ার পর শ্যামলবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে কিছু কাউন্সিলারের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কাউন্সিলারদের নিয়ে গত ৬জানুয়ারি বৈঠক করেছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সুধাংশুশেখর মণ্ডল।
এদিন শ্যামলবাবুর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ছিল ‘নট রিচেবল’ । তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলাররা বলেন, একের পর এক দলীয় মিটিংয়ে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছিল। গত ১১ডিসেম্বর বঙ্গধ্বনির কর্মসূচিতে দুর্গাচকে সভায় তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময় একদল কর্মী অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন। পরে ফের ৯জানুয়ারি আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনের উপস্থিতিতে তিনি শারীরিকভাবে হেনস্তা হন বলে অভিযোগ। তার জেরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।