কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আসরাফুল শেখ(৩৫)। তিনি পেশায় গোরু কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে কীটনাশক খাওয়া অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ভাই সরিফুল শেখ বলেন, এবছরের আগে পর্যন্ত দাদার জুয়ার কোনও নেশা ছিল না। দীর্ঘ লকডাউনের সময় জুয়ার নেশার ফাঁদে পা দিয়েছিল। এই কয়েকমাসে জমি বিক্রি করে প্রায় আট লক্ষ টাকার মতো সে জুয়ায় হেরেছে। সম্প্রতি টাকা উদ্ধারের আশায় বাড়ির দলিল জমা দিয়ে লোকের কাছে ঋণ নিয়ে জুয়া খেলেছিল বলে শুনছি। তাও হেরে যায়। সর্বস্ব লাগিয়েও ক্ষতি সামলাতে পারেনি দাদা। বরং পরপর জুয়ায় হারায় ক্ষতির অঙ্ক এতই বেড়ে যায় যে, তা মেটানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। সর্বস্বান্ত হওয়ার অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নেয় দাদা। মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, এলাকায় জুয়ার রমারমা বেড়েছে। অনেকেই সর্বস্ব খুইয়ে ফেলছেন। পুলিস তৎপর হয়ে এসব বন্ধ না করলে এই ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েই চলবে। রামপুরহাট থানার দখলবাটি গ্রামে আয়েষা সুলতানা(২৩) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার মামা মৌলারাখা সরকারের অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। তাঁকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃতার স্বামী পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার নয়ন শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এদিন মাড়গ্রামে স্ত্রীর মাসি মারা গিয়েছেন। স্ত্রী সেখানে যাব বলেছিল। কিন্তু, মাঠের কাজে একটু দেরি হওয়ায় সে সকলের অলক্ষ্যে গলায় দড়ি জড়িয়ে ঝুলে পড়ে। পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করি। এদিন ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে।