রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সিআইডির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়া থেকে ধৃত খোকন ছিল এই চক্রের এজেন্ট। চাকরিপ্রার্থীদের ফাঁদে ফেলার দায়িত্ব ছিল তার। এই চক্রের অন্যতম মাথা ধৃত তিনজন। আরও বড় মাথা থাকতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন ফেক ইমেল আইডি, ওয়েবসাইট তৈরিতে পারদর্শী। একজন পেশাদারিত্বের সঙ্গে ফোন করে চাকরির ব্যাপারে কথাবার্তা বলত আর অন্যজন ইন্টারভিউ বা শেষ ধাপের কাজ করত। বিভিন্ন সরকারি অফিস চত্বরেও ওই অভিযুক্তর আনাগোনা ছিল। ধৃতদের জেরা করে নানান তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। সিআইডির এক কর্তা বলেন, সরকারি ই-মেল আইডি বা ওয়েবসাইটের হুবহু নকল করত এক ধৃত। যা অনেক বিচক্ষণ মানুষকেও বোকা বানিয়ে দিতে পারে। এই র্যাকেট পুলিস, সিআইএসএফ স্বাস্থ্য, খাদ্যদপ্তর, কৃষি, সহ আরও একাধিক দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে। গোটা রাজ্যেই এই চক্রের জাল বিছিয়ে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সিআইডি কর্তাদের অনুমান, প্রভাবশালী কিছু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল এদের। সিআইডি সূত্রের খবর, গত বছরের শেষে পলাশীপাড়া থানা এলাকার এক যুবক কনস্টেবেলে চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করেন। পরে তারসঙ্গে যোগাযোগ করে নাকাশিপাড়ার ওই অভিযুক্ত। ওই যুবক ও তাঁর মামার চাকরির জন্য প্রায় সাত লক্ষ টাকা দেন। ভুয়ো মেল আইডি থেকে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজও আসে। মেডিক্যাল চেক আপও হয়ে যায় তাঁদের। বাঁকুড়ায় পোস্টিং হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু পরে ওই যুবক কাগজপত্রের কিছু সিরিয়াল নম্বরে অসংগতি লক্ষ্য করেন। সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও অভিযুক্ত তা এড়িয়ে যেতে থাকেন। আরও নানান বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর মাসে নাকাশিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তারপরে এই কেসের তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। অক্টোবর মাসে নাকাশিপাড়া থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই নানানভাবে ফাঁদ পেতে বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তদন্ত চালাতে থাকেন সিআইডি কর্তারা।