বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দু’মাস ধরে জেলায় এই কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে থেকেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রচার শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্য জেলায় প্রায় ৬০টি বড় বড় হোর্ডিং করা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে চার হাজার ফ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ গাড়ি করে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে মেদিনীপুর শহরজুড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। শুধু মেদিনীপুর শহর নয়, জেলার বিভিন্ন পুরসভা ও ব্লক এলাকায় এই একই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার দিন থেকেই যেখানে ক্যাম্প করা হচ্ছে, সেখানে লোকশিল্পীরা উপস্থিত থেকে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত চারদিনে জেলায় মোট ৯১ হাজার আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। এরমধ্যে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কেশপুর ব্লকে। এই ব্লকে ৭৯৩৩টি আবেদন জমা পড়েছে। এরপরই রয়েছে চন্দ্রকোণা-২ ব্লক। এই ব্লকে গত চারদিনে ৬৯১৩টি আবেদন জমা পড়েছে। গড়বেতা-১ ব্লকে ৬৩৩৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া সাড়ে পাঁচ হাজার, পাঁচ হাজারের আশপাশে দাসপুর-২ ও গড়বেতা-৩ ব্লক রয়েছে। আর ৯১ হাজার আবেদনের মধ্যে জেলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য সাধারণ মানুষ সব থেকে বেশি আবেদন করেছেন। প্রায় ৬২ হাজার ৪২১ জন মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চাষিদের চাষ করার জন্য বছরে দু’বার আর্থিক সাহায্য করা হয়। ফলে, স্বাস্থ্যসাথীর পরই এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য গ্রামীণ এলাকায় চাষিরা প্রচুর আবেদন করেছেন। গত চারদিনে জেলায় ১৩ হাজার ২৫৮টি আবেদন জমা পড়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের জবকার্ডের জন্য ৬৪৭১টি আবেদন জমা পড়েছে। ঐক্যশ্রী প্রকল্পে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পেও জেলায় গত চারদিনে ৯৭৫২টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, জয় জোহার সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের জন্য গত চারদিনে জেলায় প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে।