সংবাদদাতা, বর্ধমান: গায়ের রং কালো হওয়ায় মারধর করে স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম বাকির বিল্লা মোল্লা। মেমারি থানার বড়র গ্রামে তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে মেমারি থানার মহেশডাঙার নওশাদ মণ্ডলের মেয়ে সাহিনার সঙ্গে বাকির বিল্লা মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বিয়ের কিছুদিন পর তাঁকে বাপেরবাড়ি থেকে আরও ১ লক্ষ টাকা আনতে বলা হয়। তা দিতে না পারায় তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। গায়ের কালো রঙের কথা বলে শ্বশুরবাড়িতে তাঁকে গঞ্জনা দেওয়া হতো। মাঝেমধ্যেই তাঁকে মারধর করা হতো। এমনকী তাঁকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। শেষমেশ কয়েকমাস আগে তাঁকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সিজেএম আদালতে মামলা করেন সাহিনা। কেস রুজু করে তদন্তের জন্য মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্ত সম্পূর্ণ করে বাকির বিল্লা মোল্লাকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিস। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
অন্যদিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতের নাম অমরজিৎ রায়চৌধুরী। বর্ধমান শহরের ৩ নম্বর শাঁকারিপুকুর এলাকায় তার বাড়ি। শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে বীরভূমের বোলপুর আদালতে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পুলিসের দাবি, টাকা আত্মসাতের কথা ধৃত কবুল করেছে।  পুলিস জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের ইছলাবাদের বাসিন্দা শুভাশিস মোহন্তকে গত বছর চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অমরজিৎ। চাকরির জন্য তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেয় সে। কিন্তু, শুভাশিসের চাকরি হয়নি। তাঁকে টাকাও ফেরত দেয়নি অমরজিৎ। উল্টে টাকা চাইতে গেলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন শুভাশিস।
ট্রেনে মহিলা আইনজীবীর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান জিআরপি। ধৃতের নাম শেখ সাজাহান আলি ওরফে হীরা। হুগলির পাণ্ডুয়া থানার মেলাতলা ঘোষপাড়ায় তার বাড়ি। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। জিআরপি জানিয়েছে, দিনকয়েক আগে রাতে কাটোয়া আদালতের আইনজীবী নাদিরা বেগম বর্ধমান স্টেশন থেকে ট্রেনে ফিরছিলেন। কেতুগ্রাম থানার কুলুটে তাঁর বাড়ি। ট্রেনটি ছাড়া মাত্র তাঁর হাতে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বছর কুড়ির ওই যুবক।