পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল রানিগঞ্জের মঙ্গলপুরে নির্যাতিতার জেঠিমা বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর দুই দেওরের মেয়ে অত্যন্ত কান্নাকাটি করছে। দেওরের ছোট মেয়েটি নিখোঁজ। ছোট মেয়ের খোঁজে প্রতিবেশীরা এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির সময় এলাকারই এক মহিলা শিশুকন্যাটিকে নগ্ন অবস্থায় জেঠিমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। দুধের শিশু যৌনাঙ্গ থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তাকে দ্রুত রানিগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। রানিগঞ্জ থানার মঙ্গলপুরের বাসিন্দা কৃষ্ণর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ও তার মা দু’জনেই নিখোঁজ ছিল দীর্ঘদিন। প্রায় একমাস পরে পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে রেখে বিচার চলতে থাকে। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দানের পর ২ ডিসেম্বর বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এদিন রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ শিশুকন্যাটিকে তার জেঠিমার বাড়ি থেকে তুলে আনে। এরপর নিজের বাড়ির ফাঁকা জায়গায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ওই শিশুকন্যা অসুস্থ হয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়লে, সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর কৃষ্ণর মা বাড়িতে ফিরে এই ঘটনা দেখে শিশুটিকে নিয়ে লুকিয়ে তার জেঠিমার বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। প্রসঙ্গত, শিশুটির মা মারা গিয়েছেন। তাই তিন বোন মিলে জেঠিমার বাড়িতে থাকত তারা।