অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে তেহট্টের বিডিও অফিসের পিছনে জলঙ্গি নদীর ধারেই পার্ক তৈরির কথা উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্ক আর হয়ে ওঠেনি। তেহট্ট মহকুমা হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর এলাকার বাসিন্দারা আশা করেছিলেন জলঙ্গির তীরবর্তী এলাকা সুন্দরভাবে সেজে উঠবে বা বাচ্চাদের একটি খেলার সুন্দর জায়গা থাকবে। কিন্তু বহু বছর কেটে গেলেও বাসিন্দাদের সেই দাবি পূরণ হয়নি। ২০১৬সালে বিডিও অফিস সংলগ্ন মাঠের কাছে এবং জলঙ্গি নদীর ধারে অসংখ্য গাছ লাগানো হয়েছিল। গাছগুলি থাকলেও আশপাশে ঝোপঝাড় ও জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। বিকেলবেলায় অধিকাংশ ছাত্র-যুবক এবং প্রবীণরা জলঙ্গি নদীর ধারে যান। অনেকে নদীর ধারে প্রাতঃভ্রমণে যান।
স্থানীয় প্রবীণদের একাংশের দাবি, সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ি থেকে বেরতে ভয় লাগে। তবে একঘেয়েমি কাটাতে বিকেলের দিকে নদীর ধারে এসে বসি। শরীর ভালো রাখতে হাঁটাহাঁটি করি। তবে নদীর ধারে বসে বন্ধুদের সঙ্গে একটু অবসর যাপন করতে পারলে মানসিক শান্তি মিলত। কিন্তু এখনও নদীর ধারে বসার জায়গা দেখতে পেলাম না। প্রশাসন আমাদের কথা একটু ভাবলে ভালো লাগত।
তেহট্টের বাসিন্দা পলাশ মিত্র বলেন, আমার দুই মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় ওরা বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারছে না। বাড়িতে বন্দিদশায় থাকায় একঘেয়েমির শিকার হচ্ছে। এলাকায় একটি পার্ক থাকলে সেখানে তারা খেলাধুলো করে কিছুটা একঘেয়েমি মুক্ত হতে পারত। চিকিৎসক তথা জলঙ্গি বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ প্রলয়কুমার ভট্টাচার্য বলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্কদের বন্দিদশা থেকে মুক্তির জন্য এলাকায় একটি পার্কের অতি প্রয়োজন। যেখানে তারা একটু সময় কাটাতে পারবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই জলঙ্গি নদীর সৌন্দর্যায়ন ও নদী তীরবর্তী এলাকায় পার্কের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, জলঙ্গি নদীর সৌন্দার্যায়ন ও একটি পার্কের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে তেহট্ট হাইস্কুলের পাশে একটি পার্কের নির্মাণকাজ চলছে। তার কাজ শেষ হলেই বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে।