কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিএসএফের দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়। তারা যাতে কেউ অসামাজিক কাজে লিপ্ত না হয় তার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকেই তা মেনে চলে। কেউ কেউ তা তোয়াক্কা না করে পাচারকারীদের সঙ্গে হাত মেলায়। ওই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, সীমান্তে কোনও পাচারকারীকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। যারা বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে পাচার করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি স্থানীয় থানাগুলিকে জানানো হয়েছে। প্রায় শতাধিক গোরু পাচারকারীর তালিকা তাদের হাতে রয়েছে। ওই দুষ্কৃতীদের ধরপাকড় শুরু হবে। চার-পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাচারকারীদের অধিকাংশই জলঙ্গি, রানিনগর এলাকার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে সাগরপাড়ায় সীমান্তে গোরু পাচারে বাধা দেয় বিএসএফ। তাতেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করে পাচারকারীরা। তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে লক্ষ্য করে বোমা এবং ধারালো অস্ত্র ছুঁড়েছিল। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকেও গুলি চালাতে হয়। এক আধিকারিক বলেন, পাচারকারীরা বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে চলছে। তাই পাচারে বাধা পেলেই তারা হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা যাতে সীমান্তেই আসতে না পারে তার জন্য এবার থেকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের একটা ধারণা রয়েছে, তারা আক্রমণ করলেও জওয়ানরা গুলি চালাবে না। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আত্মরক্ষার জন্য তারা গুলি চালাতে পারে।
বিএসএফ জানিয়েছে, শীতের সময় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। এইসময় দূর থেকে কোনও কিছু দেখা যায় না। সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতার নেই। সব জায়গাতে বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। কিছু কিছু এলাকায় দূর থেকেই নজর রাখতে হয়। কুয়াশার কারণে শীতের সময় তাতে কিছুটা সমস্যা হয়। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় পাচারকারীরা। তবে এবছর সীমান্তে অনেক বেশি বাহিনী রয়েছে। নাইট ভিশন ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণে পাচারকারীরা সীমান্তে জমায়েত হলেই টের পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাতেও তেমনটাই হয়েছিল। ৩০-৪০জন পাচারকারী ৫০টি গবাদি পশু নিয়ে সীমান্তে জমায়েত হয়। বাহিনীর নজরে আসতেই তাদের ধাওয়া করা হয়। সেইসময়ই তারা হামলা করে। তবে পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে পাচারকারীরা পিছু হটে। ওই রাতে থাকা অধিকাংশ পাচারকারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।