গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুলিয়ান পুরসভায় নতুন করে ৩৩০০টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পুরসভা ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বাড়ি তৈরি করেছে। ধুলিয়ানের পাশাপাশি ডোমকলেও নতুন করে প্রায় ৩২০০টি বাড়ি তৈরি হবে। বহরমপুর পুরসভায় ৫০০টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই শহরের হাউজিং ফর অল প্রকল্প নিয়ে এর আগে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেক উপভোক্তার কাছে সময়ে টাকা পৌঁছয়নি বলে সেইসময় অভিযোগ করা হয়। উপভোক্তারা জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁরা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা করেছিলেন। এই সমস্ত বিভিন্ন কারণেই বহরমপুরে কম সংখ্যক বাড়ি অনুমোদিত হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। পুরসভার কো-অর্ডিনেটর নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের শহরে কাঁচা বাড়ি খুব কম রয়েছে। কিছু কিছু এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব জমিও নেই। এই প্রকল্পে নিজস্ব জমি ছাড়া এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না। সেই কারণেই শহরে কম সংখ্যক বাড়ি তৈরি টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল সাহা বলেন, হাউজিং ফর অল প্রকল্পের কাজ শহরে চলছে। নতুন করে আবারও আমরা তিন হাজারের বেশি বাড়ি তৈরির অনুমতি পেয়েছি। সেগুলির কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা হবে। ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। উপভোক্তাদের কাছ থেকে কেউ কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা চাইলে তাঁরা সরাসরি পুরসভায় যোগাযোগ করতে পারেন। যাঁরা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাঁরাই তা পাবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাউজিং ফর অল প্রকল্পে যাতে কোনও ধরনের অনিয়ম না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাড়ি তৈরির জন্য টাকা উপভোক্তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যায়। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কাউকে অর্থ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এক সময় এই প্রকল্প নিয়ে জেলাজুড়েও বিস্তর অভিযোগ উঠত। ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একটি চক্র টাকা হাতিয়ে নিত। কোনও কোনও উপভোক্তার কাছে থেকে ২০থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু লাগাতার প্রচারের ফলে এই প্রতারণা অনেকটাই বন্ধ হয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি। এই প্রকল্পের জেলার অন্যান্য পুর এলাকাগুলিতেও বহু বাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে।