অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতাহাটা ও ভগবানপুর-১ ব্লকে ১৮টি সোলার পাম্প মেরামতের জন্য ৩৯লক্ষ ২৩হাজার টাকা খরচ হবে। ৩৭লক্ষ ৩২হাজার টাকা ব্যয়ে পটাশপুর-১ ও ২, ভগবানপুর-২ ও এগরা-২ব্লকে ১৪টি পাম্প সারানো শুরু হয়েছে। দেশপ্রাণ ও কাঁথি-৩ ও রামনগর-২ব্লকে পাঁচটির জন্য খরচ হবে ১৭লক্ষ ৬৫হাজার টাকা। পাঁশকুড়া, শহিদ মাতঙ্গিনী ও কাঁথি-১ ব্লকে ১১টি ক্ষতিগ্রস্ত সোলার পাম্পের মেরামতিতে খরচ হবে ২৫লক্ষ ৮০হাজার টাকা। খেজুরি-১ ও ২, তমলুক ও ময়না ব্লকে ২০টি পাম্প সারানো জন্য বাজেট ৪২লক্ষ ৮৫হাজার টাকা। নন্দকুমার, হলদিয়া ও মহিষাদল ব্লকে ২৩টি পাম্প সারানোর জন্য খরচ করা হচ্ছে ৩২লক্ষ ১৪হাজার টাকা। ভগবানপুর-২ ও এগরা-২ব্লকে আরও ১৬টি পাম্প মেরামত শুরু হয়েছে। খরচ হবে ৪০লক্ষ ২৯হাজার টাকা। কোলাঘাট, ময়না ও পাঁশকুড়া ব্লকে আরও ১৫টির জন্য খরচ হবে ৩৬লক্ষ ৮৬হাজার টাকা।
বিদ্যুৎ খরচ বাঁচানোর লক্ষ্যে গত তিন-চার বছরের মধ্যে জেলার ২৫টি ব্লক এলাকায় কয়েকশো সোলার পাম্প বসানো হয়েছে। রাস্তার ধারে ওইসব পাম্প থেকে পরিস্রুত জল সংগ্রহ করেন আশেপাশের মানুষজন। গত ২০মে উম-পুন সাইক্লোনে নন্দীগ্রাম, খেজুরি, কাঁথি ও রামনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ওইসব পাম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথাও জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছে, কোথাও আস্ত ট্যাঙ্ক সাইক্লোনে উড়ে চলে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পাইপলাইন ক্ষতি হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোলার পাম্প রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দু’-তিনটি গ্রামে পাইপ লাইন পেতে জল সরবরাহ করা হয়। সাইক্লোনে বেশিরভাগ পাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেন্দামারি ও গোপীমোহনপুর এলাকায় এরকম দু’টি পাম্প অকেজো হয়ে গিয়েছিল। জেলা পরিষদের উদ্যোগে দু’টি পাম্প সদ্য সারানো হয়েছে বলে পঞ্চায়েত প্রধান মানসুরা বেগম জানান।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, উম-পুন সাইক্লোনে বাড়িঘর, ফসলের পাশাপাশি পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল পরিষেবায় ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ। জেলায় বেশকিছু সোলার পাম্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলি সারানোর জন্য আমরা পিএইচইর কাছ থেকে অর্থ চেয়েছি। কিন্তু, এখনও টাকা পাওয়া যায়নি। কিন্তু, আমরা দেড়শোর বেশি পাম্প চিহ্নিত করে সারানোর জন্য নভেম্বর মাসে ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছি। একমাসের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলি মেরামত হয়ে গিয়েছে। আরও কিছু সারানোর কাজ চলছে।