বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কাটোয়া মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বালাপোশ তৈরি হয়। তবে, কেতুগ্রামেই সবচেয়ে বেশি বালাপোশ তৈরি হয়। শান্তিনগর গ্রামে প্রায় সাতটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী বালাপোশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শিল্পীরা বলেন, একটি বালাপোশ বিক্রি করে মহাজনরা ৩০০ টাকা করে লাভ পান। তার থেকে আমাদের যৎসামান্য মজুরি দেন। মহাজনরাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরনো কাপড় সংগ্রহ করে তুলো, সুতো আমাদের দিয়ে বুনিয়ে নেন। সারাদিনে দুটি করে বালাপোশ তৈরি করতে পারি আমরা। তবে এবার আমাদের জন্য শেড তৈরি করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে আরও সুবিধা হল। এবার প্রশাসন যদি বিপণনেরও ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে খুব ভালো হয়।
তবে কেতুগ্রামের শান্তিনগর গ্রামের মহিলারা প্রায় ১০ বছর ধরে বালাপোশ শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। গ্রামের প্রায় অধিকাংশ বাড়ির মহিলা শীতকাল এলেই বাড়ির উঠানে বালাপোশ তৈরি করতে ব্যস্ত থাকেন। করোনা আবহে কাজ কিছুটা বন্ধ থাকলেও এখন ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। বালাপোশ শিল্পী গিরিশ সরকার, করুণা বালা সরকার, দীপ্তি সরকার বলেন, এবার চাহিদা কিছুটা কম রয়েছে। তবে শীত জাঁকিয়ে পড়লে বিক্রি বাড়বে। বালাপোশ হাবে মেশিনপত্র এসেছে। তবে পুরোদমে শুরু হতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কেতুগ্রাম-১ ব্লকের মোড়গ্রাম-গোপালপুর পঞ্চায়েতের শান্তিনগর গ্রামে প্রত্যেক বাড়িতে মহিলারা শীতের সময় বালাপোশ তৈরি করেন। অল্প শীতে বালাপোশের চাহিদা বেশি থাকায় সারাদিন ধরে মহিলারা কাপড়ের মধ্যে তুলো ভরে সেলাই করে তা তৈরি করেন। নানা নকশা ফুটিয়ে তুলে বাহারি বালাপোশও তৈরি করা হয়।
শান্তিনগর গ্রামে প্রায় সাতটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই বালাপোশ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। প্রতি গোষ্ঠীতে ১০ থেকে ১২ জন করে মহিলা রয়েছেন। সংসারের কাজ সামলে এই সময় বালাপোশ তৈরি করে আয় করেন তাঁরা।