পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক পার্থ ভৌমিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ‘জাহের থান’ সংস্কারের কাজ হয়েছে। এবার তফসিলি জাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ‘মনসার থান’ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাঁকুড়ার বিভিন্ন গ্রামে বাউরি, বাগদি সহ অন্য কয়েকটি তফসিলি জাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের লোকজন গোটা বর্ষাকালজুড়ে মা মনসার পুজো করেন।
ওই সম্প্রদায়ের কাছে মনসাপুজো বিশেষ উৎসবে পরিণত হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় মনসাপুজো উপলক্ষে মেলাও বসে। জেলায় কয়েক হাজার গ্রামে এরকম ‘মনসার থান’ রয়েছে। কিছুজন নিজেদের উদ্যোগে মনসার থান সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়েছেন। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কটের কারণে মা মনসাকে খোলা জায়গায় রাখতে বাধ্য হন বাসিন্দারা। তাই সরকারি উদ্যোগে ‘মনসার থান’ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে এবং ছাউনির বন্দোবস্ত করে দিলে খুব ভালো হবে। বিষয়টি জানিয়ে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম। তিনি তাতে সাড়া দিয়েছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের বাঁকুড়া সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার মধ্যে বাউরি সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক কালচারাল বোর্ড তৈরি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাঁকুড়ারই এক বাসিন্দাকে। এছাড়াও বিষ্ণুপুরের মিউজিয়ামে থাকা তিন হাজার পুঁথির ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলার বিধায়কদের কাছ থেকে আসা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেন।
অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার ২২টি ব্লকে কতগুলি ‘মনসার থান’ রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর তা রাজ্যে পাঠানো হবে। তা অনুমোদনের পর সংস্কারের কাজ শুরু হবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উক্ত সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা ভীষণ খুশি হয়েছেন।
বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন বাউরি বলেন, আমাদের গ্রামে প্রতিবছর আষাঢ় মাসে পঞ্চমী উপলক্ষে মনসাপুজো হয়। তাকে কেন্দ্র করে বাসিন্দারা দু’দিন ধরে উৎসবে মাতেন। আত্মীয় পরিজনরাও পুজোয় আসেন। পুজো উপলক্ষে গ্রামে ছোট মেলাও বসে।
বহু বছর ধরে তা হয়ে আসছে। মনসা থানে নিজেদের উদ্যোগে পাকা বেদি করা হয়েছে। তাতে সরকারের পক্ষ থেকে ছাউনি ও অন্যান্য সংস্কারের কাজ করে দিলে খুবই ভালো হবে।