পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের জেলায় স্বাস্থ্যকর্মী ও সরাসরি করোনার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। দপ্তর থেকে ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হলে সক্রিয় করোনা যোদ্ধা হিসেবে এই কর্মীরাই প্রথমে তা পাবেন।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৮৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দশ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। যদিও আধিকারিকদের অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন আক্রান্তের সংখ্যা এই জেলায় অনেক বাড়বে। কারণ বাঁকুড়া জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি ছিল। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা এই জেলায় ফিরেছিলেন। সেই কারণে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম থেকেই জেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, অন্যান্য জেলার তুলনায় বাঁকুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম।
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এই জেলার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ার জন্য বাঁকুড়া ব্যাপক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের একটা বড় অংশ বাড়িতে থেকেই দ্রুত সুস্থ হয়েছেন বা এখনও সুস্থ হচ্ছেন। এই জেলায় যে সমস্ত মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই বয়স্ক। তবে বহু বৃদ্ধবৃদ্ধাও করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ পাওয়ার পরই জেলা স্তরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, জেলার আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও কর্মীদের প্রথম সারির সক্রিয় করোনা যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জেলায় ভ্যাকসিন এলেই এই তালিকায় থাকা কর্মীদেরই প্রথমে দেওয়া হবে। বাঁকুড়া জেলায় প্রাথমিকভাবে ২৫টি জায়গায় টিকা রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য দপ্তরের কর্মীদের কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কীভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করবেন, তা নিয়ে জেলা স্তরে প্রাথমিক আলোচনা শেষ হয়েছে। টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে জেলার আধিকারিকরাও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। তবে ঠিক কতদিন পরে ও ক’দফায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভ্যাকসিন পেলে যাতে কোনওভাবে তা সক্রিয় করোনা যোদ্ধাদের দিতে দেরি না হয়, সেজন্য স্বাস্থ্যদপ্তর সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখছে।