অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, ওই ঘটনায় অর্পিতার এক নিকট আত্মীয়কে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করে বাকিদের ধরা হয়েছে। ধৃত ওই বধূ ও তার বাবা-মা আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে তারা বিভিন্ন সময় নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর অর্পিতার শ্বশুর সুভাষ লাহা নাতিকে ফিরে পেতে আরামবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের উচ্চ আদালতেও একটি মামলা করেন। সেই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ কেসের তদন্তের ভার সিআইডিকে দিতে নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এরই মধ্যে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুরের বাসিন্দা অর্পিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গোঘাটের বাসিন্দা শ্যামসুন্দর লাহার। গত আগস্ট মাসে দেওয়াল চাপা পড়ে শ্যামসুন্দর মারা যান। তারপর শ্যামসুন্দরের স্ত্রী অর্পিতা তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। তখন তিনি আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর আরামবাগের পল্লিশ্রী মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি নার্সিংহোমে অর্পিতা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ওই সদ্যোজাতকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন অর্পিতা। তিনি নিজের সন্তানকে নিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, বধূ ও তার বাপেরবাড়ি পরিজনরা সদ্যোজাতকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে চায়। সেই কাজে ওই নার্সিংহোমেরই এক আয়াকে কাজে লাগানো হয়।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, আরামবাগের এক নিঃসন্তান দম্পতির হাতে সদ্যোজাতকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। দম্পতির দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, ওই দিনই তারা সদ্যোজাতকে নিয়ে আরামবাগের অপর একটি নার্সিংহোমে যায়। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার আগেই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। তারপর তারা আরামবাগের কালীপুর ব্রিজ থেকে দ্বারকেশ্বর নদে সদ্যোজাতকে ফেলে দেয়।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে বধূর আত্মীয় পৃণাল বারিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করেই খোঁজ মেলে ওই নিঃসন্তান দম্পতির। এরপর পুলিস দম্পতি ইন্দ্রজিৎ ধাড়া ও কাজল ধারাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের জেরায় দম্পতি স্বীকার করে, নার্সিংহোমের এক আয়াই সদ্যোজাতকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপরই ওই আয়া মকর হেব্রমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।