পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত কালীপুজোর মতো যাতে ভাঙা রাসে ভিড় না হয় তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক হয়ে কাজ শুরু করেছিল পুলিস-প্রশাসন। একাধিকবার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি শহরে প্রচার চালানো হয়েছিল। অন্যান্য বছরের মতো এবার জাঁকজমকের সঙ্গে শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাইরাজা সহ কোনও ট্যাবলো যাতে না বেরোয় তার জন্য আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বুধবার বেলা গড়াতেই ভাঙা রাসের আড়ম্বরহীন শোভাযাত্রা শুরু হয় শহরে। প্রথমে ন’টি বিগ্রহবাড়ির ঠাকুর এবং তারপর প্রায় ২০-২২টি বারোয়ারির প্রতিমা একে একে বের হয়। আদালত এবং প্রশাসনের দেওয়া সমস্ত সর্তকতা মেনেছেন অধিকাংশ ছোট এবং বড় পুজো উদ্যোক্তাই। পুলিসের পক্ষ থেকেও লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ফাঁকাই ছিল এলাকা। প্রথমদিকে সেভাবে ভিড় হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে প্রতিমার শোভাযাত্রা দেখার জন্য আশপাশের বহু বাসিন্দা রাস্তার দু’ধারে জমায়েত হতে থাকেন। এতেই ভিড় ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শান্তিপুরের ডাকঘর এলাকায় রাতের দিকে একটা সময় হাজারের বেশি মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি। প্রতিমা নিরঞ্জনের ঘাটে যাওয়ার রাস্তাতেও অনেকে ভিড় করেন।
তবে ভিড়ে সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হয়নি বলে অনেকের অভিযোগ। শহরে ঢোকার বেশ কয়েকটি মূল রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণও করা হয়। তা সত্ত্বেও প্রশাসন সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। যদিও শোভাযাত্রা দেখতে আসা বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শুধু প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা বললে ভুল হবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এখানে অনেকটাই দায়ী। পাশাপাশি শান্তিপুর শহর এবং ব্লকে যেভাবে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই এদিনের চিত্র উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাসিন্দাদের। এদিন বহু মানুষকে মুখে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। আবার অনেকের মাস্ক থাকলেও তা ছিল থুতনির নীচে।
শান্তিপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজয় দে বলেন, রাত ১১টার মধ্যে বিসর্জন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তারা সকলেই দায়িত্ববান ছিলেন। ভিড় এড়ানোর সবরকম চেষ্টা ও সচেতন করা হয়। প্রচুর পুলিসও মোতায়েন ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল। করোনা আবহের মধ্যে বাসিন্দাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হতো। কিন্তু অনেকেই আবেগের বশে পথে নামেন।