বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু উনি কেনাকাটা করেননি বলে দাবি করেছেন। ঘটনার তদন্ত চেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অভিযোগ নতুন নয়। সম্প্রতি এই ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা সাড়ে ন’লক্ষ টাকা উদ্ধারও করেছেন। তবে কোনও রকম তথ্য শেয়ার না করার পরও কীভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে, তা তদন্তকারীরা ভেবে পাচ্ছেন না।
এর আগে অপরাধীরা নিজেদের ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ফোন করত। তারা বিভিন্ন অছিলায় ওটিপি জানার পর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিত। কিন্তু এখন অনেকেই তাদের ওই কৌশল জেনে গিয়েছে। তাই তারা নতুন নতুন কায়দায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একসময় এই প্রতারণার জাল ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এখন তা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের মতো এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় নতুন নতুন দল তৈরি হয়েছে। যাদের অধিকাংশই শিক্ষিত যুবক। তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। পাশাপাশি কখনও কখনও লটারি জেতার টোপ দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাচ্ছে। সেটাতে ক্লিক করলেই সমস্ত তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আবার কখনও কখনও অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দিচ্ছে। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই অনেক তথ্যই তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় এক বছরে প্রায় ১৩০টি ব্যাঙ্ক প্রতারণার কেস জমা পড়েছে। এক আধিকারিক বলেন, সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করলে অনেক সময় টাকা ফিরিয়ে আনা যায়। তবে কোনও তথ্য শেয়ার না করলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায় না। তারপরও কিছু কিছু ঘটনা হয়েছে। সেগুলো কীভাবে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ব্যাঙ্কের সঙ্গেও প্রয়োজনে কথা বলা হবে। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের দু’টি সাইবার থানা তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জঙ্গিপুরে নতুনভাবে সাইবার থানা চালু করা হয়েছে। টেকনোলজি আগের থেকে অনেক উন্নত করা হয়েছে। বুধবার মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার সাইবার ক্রাইম থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, সাইবার অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। সেই কারণেই এই উইংস মজবুত করা হচ্ছে।