কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ভরতপুর ব্লকের সিজগ্রাম পঞ্চায়েতে কয়েক হাজার হেক্টরজুড়ে রয়েছে কারোল বিল। প্রতিবছর বর্ষার সময় বিল ছাপিয়ে আশপাশের গ্রামের মাঠগুলিতে জল উপচে পড়ে। কিন্তু এবছর বিলে সামান্য জল রয়েছে। তাই এলাকার চাষিরা কোনওমতে আমন চাষ করলেও বোরো চাষের আগে সেচ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। চাষিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিল সংলগ্ন এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর তিনফসলি কৃষিজমি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের শাক-সব্জি চাষ হয়। আমন চাষের পর বোরো চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর অধিকাংশ বোরো চাষি বিলের জলে সেচ দিয়ে থাকেন। তবে কয়েকটি সাবমার্শিবল পাম্পও রয়েছে। কিন্তু এবছর বিলে কার্যত জল নেই বললেই চলে। এলাকার চাষি তথা সিপিএম নেতা আপেল শেখ বলেন, অন্যান্য বছর বিলে প্রচুর জল থাকে। ফলে বোরো চাষ করতে গিয়ে সেচের চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু এবছর বিলে কম জল রয়েছে। চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
স্থানীয় পল্লিশ্রী, কুলুপুকুর, খয়রা, একডালা প্রভৃতি গ্রামের চাষিরা জানান, বিলের জলনিকাশির জন্য শির নালা রয়েছে। জল যাতে বেরিয়ে না যায় সেজন্য বর্ষার শেষে গ্রামের চাষিরা বাঁধ দিয়ে থাকেন। বাঁধ দেওয়ার ফলেই বিলে জল থাকে। কিন্তু এবছর চাষিদের পক্ষ থেকে সেখানে বাঁধ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিলে কম জল রয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। বর্ষার পর বিলের জল ওই নালা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। পল্লিশ্রী গ্রামের চাষি পরিমল বিশ্বাস বলেন, এবছর বিলে জল নেই বললেই চলে। তাই অনেক চাষি বোরো চাষ করবেন না বলে জানাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ চাষি বিকল্প চাষের চেষ্টা করছেন।
কান্দি মহকুমা কৃষিপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরো চাষের বদলে চাষিরা ডালশস্য চাষ করলে উপকৃত হবেন। একদিকে ডালশস্য চাষের খরচ কম। তেমনই এটি অল্প সেচে করা যায়। আর কৃষিদপ্তরের কথায় সায় দিয়েছেন ওই এলাকার হাজারের বেশি চাষি। কুলুপুকুর গ্রামের চাষি মাধবচন্দ্র রাজবংশী বলেন, এবছর সেচের জল পাওয়া যাবে না ধরে নিয়ে অনেক চাষি ডালশস্য চাষ করবেন বলে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে বরাবর এই এলাকায় বোরো চাষ বেশি হয়। তাই ডালশস্য চাষ করে লাভ করা যাবে কিনা তা নিয়েও চাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।