বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মহকুমা শহর রামপুরহাট। এই শহরের দেশবন্ধু রোড, ব্যাঙ্ক রোড, কামারপট্টি, মহাজনপট্টি, ভাঁড়শালা, ডাকবাংলো সহ সমস্ত রাস্তাতেই সকাল থেকে যানজট শুরু হয়। প্রতিটি রাস্তার দু’ধার দখল হয়ে যাচ্ছে। তাতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। তার উপরে অবৈধ টোটো, মোটরভ্যান, সাইকেল, বাইক ও চারচাকা গাড়ি চলছে। ফলে, সংকীর্ণ রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি রাস্তার জনবহুল মোড়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কালঘাম ছুটছে। এরই মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। সকলের আক্ষেপ, এই সমস্যা থেকে কবে মুক্তি মিলবে কে জানে!
এদিন স্টেট ব্যাঙ্ক রোডে যানজটের ফাঁস তৈরি হয়। এই রাস্তা দিয়ে পুরসভা, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, গার্লস স্কুল যাওয়া যায়। এছাড়া ডাকবাংলো থেকে শর্টকাট এই রোড ধরে ব্যাঙ্ক রোডে ওঠা যায়। সেখানে এদিন যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। নাজেহাল হন বহু মানুষ। দলীয় কার্যালয় থেকে মানুষের দুর্ভোগ দেখে নিজেই ট্রাফিক সামলাতে রাস্তায় নামেন কৃষিমন্ত্রী। খোদ মন্ত্রীকে এই ভূমিকায় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান আটকে পড়া মানুষজন। তাঁরাও যান নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। অবশেষে মিনিট ২০-র চেষ্টায় রাস্তাটি যানজটমুক্ত হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আটকে পড়া মানুষজন। তাঁরা মন্ত্রীর মানবিক মুখের প্রশংসা করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে শুরু হয়ে গোটা রাস্তাটায় এতই যানজট, আর তাতে আটকে পড়া মানুষের কষ্ট দেখে আমি রাস্তায় না নেমে থাকতে পারলাম না। কিছুই নয়, যদি ট্রাফিক পুলিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে এই জট তৈরি হয় না। তাই ট্রাফিক পুলিসের দায়িত্বে থাকা আধিকারিককেও ধমক দিয়ে বলেছি, আপনারা কি শুধু থানায় বসে থাকবেন? তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই পুলিস ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে শহরের যানজট নিয়ে সামগ্রিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হবে।
বাসিন্দারা অবশ্য চাইছেন, এবার অন্তত এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। ব্যস্ততম এই শহরকে যানজটমুক্ত করতে পার্কিং জোন করা ভীষণ জরুরি। সেই সঙ্গে লাগামছাড়া টোটোর উৎপাত বন্ধ হওয়া দরকার।
যদিও পুলিসের এক কর্তা বলেন, শহরে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার জন্য ট্রাফিকের দপ্তরে প্রস্তাব দেওয়া আছে। এছাড়া টোটো ইউনিয়নগুলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। ফের তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।