অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কৃষক আন্দোলনে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে দেশ। দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ হওয়ার পথে। তৃণমূলের আমলেও একটা সময় বীরভূমের লোবা ও অণ্ডালে কৃষক আন্দোলন হয়েছে। লোবায় সমস্যা আগেই মিটে গিয়েছে। এবার চিরতরে সমস্যা মিটতে চলেছে অণ্ডালেও। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই সেখান থেকে ১৫০০ জনের বেশি চাষি জমির বদলে জমি পাবেন। যদিও রাস্তা সহ বেশকিছু বিষয় নিয়ে এখনও কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তবে সেটাও দ্রুত মেটানোর কাজ চলছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে মিটতে চলায় শাসক দলে ‘ফিল গুড’ আবহাওয়া চোখে পড়ছে।
তবে খনি অঞ্চল আসানসোল, রানিগঞ্জের ক্ষেত্রে কয়লাখনি পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় ইস্যু। বছরের পর বছর ধরে বহু পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। কোথাও ধসের জেরে তাঁদের প্রাণহানি ঘটেছে, কোথাও আবার দীর্ঘদিন ক্যাম্প করে থাকতে হচ্ছে। অনেকে আবার বিপজ্জনক জেনেও নিজের জমিতেই বাস করছেন। বিধানসভা ভোট হোক বা লোকসভা নির্বাচন এলেই এই পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি শুরু হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু ভোট পার হলেই সব ঠান্ডা। অবশেষে সেই বহু প্রত্যাশিত পুনর্বাসন প্রকল্পে ফ্ল্যাট দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে এই প্রশাসনিক সভা থেকেই।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ে ৩৫৬২জন ফ্ল্যাটের চাবি পাবেন। মঞ্চ থেকে পাঁচজনকে চাবি দেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়েও বাকি ফ্ল্যাটগুলি দ্রুততার সঙ্গে বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ৩০হাজার পরিবার মূলত, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এটি সুষ্ঠুভাবে মিটলে ভোটে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই রানিগঞ্জের মাটি থেকেই কয়লা পুনবার্সন জট কাটিয়ে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
যে মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তার পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। বৃহস্পতিবার পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন ও জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি যৌথভাবে মাঠ পরিদর্শন করেন। এখনও পর্যন্ত যা স্থির রয়েছে, রানিগঞ্জে প্রশাসনিক সভা করে তিনি দুর্গাপুরে যাবেন। সেখানে নবনির্মিত সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করে বুধবার জেলা থেকে রওনা দেবেন। এদিন পুলিস কমিশনার ও জেলাশাসক সার্কিট হাউসও পরিদর্শন করেন।