বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনার ধাক্কায় ২২ মার্চ আসানসোল ডিভিশনে শেষ লোকাল ট্রেন চলেছিল। আট মাস ১০ দিন পর ফের গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। এতে স্বস্তিতে যাত্রীরা। সস্তায় যাত্রা করতে লোকাল ট্রেনের যে কোনও বিকল্প নেই, মানছেন সবাই। এদিন আসানসোল স্টেশন থেকে আসাসোল-বর্ধমান, আসানসোল-জসিডি, সহ সব সেকশনেই লোকাল এমইএমইউ ট্রেন চলেছে। ট্রেন ছুটেছে অণ্ডাল, সাঁইথিয়া লাইনেও। নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীদের মতো খুশি পড়ুয়ারাও। মনিকা কুমারী বলেন, আসানসোল থেকে ধানবাদে আমাদের কলেজ যেতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ টাকা খরচ হয়ে যেত। আমরা এত টাকা কোথায় পাব? শুধু খরচ নয়, অনেক বাস, অটো পরিবর্তন করে যেতে হতো। সময়ও বেশি লাগত। ট্রেন চলায় খুশি স্টেশনে স্টলের মালিক গণেশ বানোয়াল। তিনি বলেন, এক্সপ্রেসে ট্রেনের যাত্রীরা আর কত জিনিস কেনেন? লোকালের যাত্রীরাই বেশি কেনাকাটা করেন। তাই লোকাল ট্রেন শুরু হওয়ায় এবার ব্যবসা বাড়বে। স্টেশনের কুলি রাজকুমার যাদব বলেন, আমরা কী করে সংসার চালিয়েছি, তা আমরাই জানি। আশা করছি দ্রুত আগের মতো সব কিছু হয়ে যাবে।এদিন দুর্গাপুর স্টেশনেও আরপিএফের সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। তাপমাত্রা পরিমাপ করে মাস্ক পরেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়া থেকে ধানবাদের উদ্দেশে লকডাউনের পর প্রথম যাত্রা শুরু করেছে কোলফিল্ড। যদিও ট্রেনটি এখনও স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই চলছে। এদিন প্রথম ধানবাদ থেকে হাওড়ার উদ্দেশে গেল ট্রেনটি। প্রসঙ্গত, খনি অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ট্রেনের কম্পার্টমেন্ট নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছিল। যা নিয়ে নিত্যযাত্রী দেবাশিস দাস রেলমন্ত্রী থেকে রেলবোর্ডের সর্বত্র অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁর চেষ্টার ফল মিলেছে। রেলের পক্ষ থেকে তাঁকে আগেই জানানো হয়েছিল, কোচ পরিবর্তনের কথা। এবার সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে।