গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হাসিবুল ইসলাম(৩০)। তাঁর বাড়ি কাতলামারী-২ পঞ্চায়েত এলাকার ডিগরি গ্রামে। বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চকমথুরিয়ায় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর পাঁজরের কাছে গুলি লেগেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রাতের বেলা ও কেন সেখানে গিয়েছিল তা বুঝতে পারছি না।
বিএসএফের ডিআইজি কুণাল মজুমদার বলেন, পাচারকারীরা প্রায় ৫০টি গবাদি পশু বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের বাধা দেয়। সেইসময় তারা হঠাৎ করেই আক্রমণ করতে থাকে। রাতের অন্ধকারে জওয়ানরা প্রথমে চমকে যায়। পরে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে প্রায় ৪০জন পাচারকারী সীমান্তে জমায়েত হয়েছিল। তাদের সকলের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা বেশকিছু গোরু সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। বিএসএফের নজরে আসতেই তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলার পর পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওই একজনই গুলিবিদ্ধ হয়। বিএসএফ চারটি গবাদি পশু আটক করেছে। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সাগরপাড়া, রানিনগর এবং জলঙ্গি সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারকারীদের ছোট ছোট গ্যাং তৈরি হয়েছে। ওই এলাকাগুলির অধিকাংশ জায়গাতেই কাঁটাতার নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তারা রাতের অন্ধকারে পাচারের ছক কষেছে। কিন্তু এবার বিএসএফ শীতের মরশুমে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করেছে। তারা বিভিন্ন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। এছাড়া সর্বত্র বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাই পাচারকারীদের চেষ্টা অধিকাংশ সময়ই ব্যর্থ হচ্ছে। সেই কারণে তারা মরিয়া হয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আক্রমণ করার কৌশল নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে বিএসএফকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল। তারা গোরুর গলায় সকেট বোমা বেঁধে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টাও তাদের ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছরই শীতকালে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। চাষ করা জমি উপর দিয়ে তারা গবাদি পশু নিয়ে যায়। এবছর পাচার বন্ধ থাকলে চাষিরা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। বিএসএফের দাবি, সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল রয়েছে। কোনও কিছুই পাচার করতে দেওয়া হবে না। তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাধ্য না হলে কখনোই গুলি চালানো হয় না। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে গুলি না চালালে বিএসএফ জওয়ানদের প্রাণহানি হতে পারত।